বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১, ২০২১, ১২:৫৮ এএম
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকার যে অর্থ দিয়ে থাকে (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও) তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
অনলাইনে যেভাবে আবেদন
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (www.shed.gov.bd), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (www.dshe.gov.bd), এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইটে (www.banbeis.gov.bd) ‘অনলাইন এমপিও অ্যাপ্লিকেশন’ শিরোনামে প্রদর্শিত লিংকের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সব কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পদ্ধতিতে নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি, ইমেইল বা পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অথবা এর অধীনস্থ কোনও দফতরে গ্রহণ করা হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ২০১৮ সালে বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ৯ হাজার ৪৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করেছিল। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখি হাসিনা। পরে দুই হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়। তবে ওই বছরের শেষের দিকে সরকার বিশেষ ক্ষমতাবলে আরও ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে।
২০২১ সালের নীতিমালায় পরিবর্তন
চলতি বছর এমপিওভুক্তির বেশকিছু শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার জড়েু দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত পেতে হলে শহরের প্রতিষ্ঠোনে ২০০ জন ও মফস্বলে ১৫০জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪২০ জন ও মফস্বলে ৩২০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের জন্য শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ জন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রি কলেজের (স্নাতক) জন্য শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
