সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১১:৪১ এএম
স্কুল ড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আজিমপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে পুরো বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে আসে। আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাজেই আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছিলাম, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংক্রমণের হার একেবারে ৫ শতাংশে না হলেও এর কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা এই সময়টাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার যথার্থ সময় মনে করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যেই সাজসাজ রব। শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সবার মধ্যেই উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। তার মধ্য থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আমরা সেই চিন্তাও মাথায় রেখেছি। যদি কোনো আশঙ্কা দেখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু সংক্রমণের হার নয় আমাদের অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিকসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব মাথায় নিয়েই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি। করোনার সঙ্গে হয়তো আমাদের আরও অনেক দিন বসবাস করতে হবে।’
এ সময় শ্রেণিকক্ষে ময়লা পাওয়ায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গঠতি মনিটরিং কমিটির সদস্য শিক্ষকদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরপরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবার সচেতনতা একরকম নয়। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন, তাদের একটু সচেতন থাকতে হবে। স্কুলের প্রতিটা আনাচে-কানাচে খুঁজে দেখতে হবে। কোথাও যেন ময়লা না থাকে। যতটা ভালো পারা যায়, আমরা চেষ্টা করছি।’
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনও রকম সমস্যা আছে; আমরা তা সমাধানে ব্যবস্থা নেবো।’