১৬ মাসেও হয়নি স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২২, ২০২২, ০২:৪২ এএম

১৬ মাসেও হয়নি স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

২০২০ সালে বিতর্কের মুখে স্থগিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীন সান্ধ্যকালীন কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা হয়নি এখনও। ওই বছরের ২০ নভেম্বর পরীক্ষার ঠিক আগ মূহুর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই সিদ্ধান্ত জানায় এবং বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ভর্তিচ্ছুদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ‘জানানো’ ১৬ মাসেও আর হয়ে উঠেনি। হয়নি সেই স্থগিত পরীক্ষাও। এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সৌরভ হোসেন বলেন, আমাদের দুই বছর থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত আমাদেরকে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া।

সৌরভ আরও বলেন, ”আমাদের একটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে এই মাসের ২৫ তারিখে এ নিয়ে বৈঠক হবে। তারপর আমাদেরকে ভর্তি পরীক্ষার বিষিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায় অনুষদের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, "এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে এখনও কালক্ষেপনের কোন যৌক্তিকতা নেই। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এই পরীক্ষা হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এতো দিনে হয়েই যেতো।"

পরীক্ষা হলে তারিখ ঘোষণা নতুবা শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্য রিপোর্টকে বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের সিদ্ধান্ত এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।"

এই বিষয়ে জানার জন্যে ব্যবসয় অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে পরীক্ষা স্থগিতাদেশ দিয়ে সেসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের সান্ধ্য কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত নয়টি বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্স ও চারটি প্রফেশনাল কোর্সে প্রতি বছর প্রতিটি সেশনে ৭২০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। ’সান্ধ্য কোর্স পর্যালোচনা ও যৌক্তিকতা যাচাই কমিট’ স্কিলড প্রফেশনাল তৈরি করার উদ্দেশ্যে সান্ধ্য কোর্স রাখার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জন্যে প্রচলিত পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কারের সুপারিশও করে তারা।

Link copied!