শীতের মিষ্টি সকাল। কুয়াশা ঘেরা এই ইট পাথরের বিশাল নগরীতে লতা ,গুল্ম, বৃক্ষের দেখা পাওয়া যায় অযত্নে অবেহেলায়।
তবুও শীত আসে ঝরা পাতার বার্তা নিয়ে,শীত আসে ফিনিক্স পাখির মতো আবারো জীবন ফিরে পাওয়া গোলাপ, সূর্যমুখী, থরে থরে সাজানো গাঁদা, জিনিয়া আর ডালিয়ার গল্প শোনাতে।
শীতে প্রকৃতি নিজেকে গুটিয়ে রাখে। গাছের পাতা ঝরে যায়। কিন্তু এই শীতেই আবার সুন্দর সুন্দর ফুল ফোটে।
শীতের আঙিনায় বসন্তের চেয়েও বেশি ফুলের সমাহার ঘটে। কারণ শীতে যে সব ফুল হয় সেগুলোকে সহজে টবে বা অল্প জায়গায় লাগানো যায়। যারা ফুলের বাগান করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য কিন্তু শীতকালটা খুব ভালো। ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ির বারান্দায় বা ছাদে অনায়াসে ফুলের গাছ লাগানো যায়।
শীতের দিনগুলোতে ফুল ফোটে খুব ভালো। এ দিনের ফুলের সংখ্যাও প্রচুর। যদিও এসব ফুলের প্রায় সবই বিদেশি। শুধু সংখ্যায় যে এরা প্রচুর তা নয়, রূপ-বৈচিত্র্যে আর কোনো মৌসুমেই এরা এতটা মুগ্ধ করতে পারে না। বড় বড় ইনকা গাঁদা, ছোট ছোট চায়না গাঁদা, দেশি গাঁদা, রক্ত গাঁদা, হলুদে লাল মিশানো জাম্বো গাঁদা, লম্বা গাছে দেশের জাত রাজ গাঁদা ইত্যাদি নানা জাতের গাঁদা ফুলের চারা এখন পাওয়া যাচ্ছে আশপাশের প্রায় সব নার্সারিতেই।
এরপর রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গ্লোরি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস প্রভৃতি। এমনকি গোলাপকেও সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন। টবে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, কারনেশান, ক্যালেন্ডুলা, অ্যাস্টার ইত্যাদি জন্মে। তবে জমিনের বাগানে সব ফুলই লাগানো যেতে পারে।