জোড়া লাগা শিশু লাবিবা-লামিসাকে আলাদা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে তাদের আলাদা করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন ৩২ জন দক্ষ চিকিৎসকের একটি দল।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল উল হক বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, আজ (১৩ ডিসেম্বর) শিশুদের প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার করেছি। মূল অপারেশনে যেতে আরেকটু সময় লাগবে। তাদের শরীরে পর্যাপ্ত টিস্যু না থাকায় চামড়ার নিচে দুটি সিলিকন বল স্থাপন করা হয়েছে।“
জন্মের পর থেকে জোড়া লাগা দুই বোন লাবিবা-লামিসাকে এখনই আলাদা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাদের প্রজনন অঙ্গ ও মলদ্বার খুব কাছাকাছি থাকায় একটি শিশুর শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই এখনই তাদের আলাদা করছেন না চিকিৎসকেরা।
ডা. আশরাফুল উল হক আরও বলেন, “আশা করি শিশু দুটির যোনিদ্বার ইনজুরি ছাড়াই পৃথক করতে পারব। যোনিদ্বার পৃথক করার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর মূল অপারেশন করা হবে।”
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক গণমাধ্যমে বলেন, “এটি একটি ক্রিটিক্যাল অপারেশন। আমাদের অনেক চিন্তা-ভাবনার বিষয় আছে। আমাদের এমনভাবে অপারেশন করতে হবে যেন তাদের অপারেশন-পরবর্তী কোনো ঝুঁকি না থাকে এবং অপারেশনের পর তারা স্বাভাবিক জীনবযাপন করতে পারে। আমরা সময় নিচ্ছি যাতে সর্বনিম্ন ঝুঁকিতে সর্বোচ্চ সফলতার সম্ভাবনা থাকে।”
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের লাল মিয়া-মনুফা আক্তারের সন্তান লাবিবা-লামিসা। উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ২০১৭ সালে জোড়া লাগা তোফা-তহুরা ও ২০১৯ সালে রাবেয়া রোকাইয়াকে সফলভাবে আলাদা করা হয়।