হাত ঘেমে চিটচিটে হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে পাউডারের বাক্সে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারলে শান্তি! পায়ের তালু ঘামতে ঘামতে দুর্গন্ধের উৎপত্তি। সবার মাঝে বেকায়দায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম। এই বিব্রতকর অবস্থায় কী করবেন?
এমন একটা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, না শীত না গরম। শীত থেকে গরম এবং গরম থেকে শীতের দিকে যখন রূপান্তর হয় ঠিক তখনই এমনটা অনুভূত হয়।
দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপার-হাইড্রোসিস’ বলা হয়। পুরো শরীরের পাশাপাশি হাতের তালু, পায়ের তলা, বাহুমূল এমনকি মুখের ভেতরও ঘাম হতে পারে।
লো ব্লাড সুগার, হাইপারথাইরয়েডইজম থাকলে বা নারীদের মেনোপজের সময় এমন চিটচিটে ঘাম হয় হাত-পায়ের তালু দিয়ে। জেনেটিক কারণ, হতাশা, দুশ্চিন্তা ও পারিবারিক অশান্তির মধ্যে থাকলেও মনের অজান্তে হাত-ও পায়ের তালু ঘামতে থাকে।
ঘাম স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের হাত ও পা ঘামা সম্পূর্ণভাবে প্রতিকার করা সম্ভব না হলেও ২০ মিনিটের কিছু পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চলুন কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে নিই-
লেবুর রস
তাজা লেবুর রস হাত ও পায়ের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার ঘাম কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
গোলাপজল
বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। সপ্তাহ খানেক পরেই পাবেন ফলাফল।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এই জাতীয় সিরকা ও পানির মিশ্রণে ২০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ঘাম কমে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে তাতে হাত ও পা ডুবিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটাও পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করে ঘাম কমায়।
চন্দনের গুঁড়া
প্রকৃতির এক অনন্য আশির্বাদ চন্দন গুঁড়া। চন্দনের গুঁড়া পানিতে গুলে পেস্ট তৈরি করে হাত ও পায়ের তালুতে মেখে শুকানোর জন্য ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পুর
সামান্য গরম পানিতে কর্পুর গুলে হাত ও পা ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও কর্পুরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে একাধিকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে।
অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না একদমই।
অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা,কফি) ও অ্যালকোহল পান সীমিত পরিসরে নিয়ে আসতে হবে।
উলেন বা পলিস্টারের মোজা পরিধান করা যাবে না।
জুতা ও মোজা নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন, প্রয়োজনে জুতার ভেতরে পাউডার ব্যবহার করুন।
সবসময় মনে রাখবেন, শরীরের কোন সমস্যা হলে নিজেই নিজের সাথে ডাক্তারি করবেন না। সকল রোগের মহাঔষধ কখনও প্যারাসিটামল হতে পারে না। হাত-পা ঘামা নিয়ে অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁর পরামর্শ মত ওষুধ সেবন করুন।
চিকিৎসক অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করতে দিতে পারেন। এছাড়াও বিশেষ এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। সেটিও চিকিৎসকের পরামর্শেই। এছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।
দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপার-হাইড্রোসিস’ বলা হয়। পুরো শরীরের পাশাপাশি হাতের তালু, পায়ের তলা, বাহুমূল এমনকি মুখের ভেতরও ঘাম হতে পারে।
লো ব্লাড সুগার, হাইপারথাইরয়েডইজম থাকলে বা নারীদের মেনোপজের সময় এমন চিটচিটে ঘাম হয় হাত-পায়ের তালু দিয়ে। জেনেটিক কারণ, হতাশা, দুশ্চিন্তা ও পারিবারিক অশান্তির মধ্যে থাকলেও মনের অজান্তে হাত-ও পায়ের তালু ঘামতে থাকে।
ঘাম স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের হাত ও পা ঘামা সম্পূর্ণভাবে প্রতিকার করা সম্ভব না হলেও ২০ মিনিটের কিছু পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চলুন কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে নিই-
লেবুর রস
তাজা লেবুর রস হাত ও পায়ের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার ঘাম কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
গোলাপজল
বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। সপ্তাহ খানেক পরেই পাবেন ফলাফল।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এই জাতীয় সিরকা ও পানির মিশ্রণে ২০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখলে ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ঘাম কমে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে তাতে হাত ও পা ডুবিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটাও পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করে ঘাম কমায়।
চন্দনের গুঁড়া
প্রকৃতির এক অনন্য আশির্বাদ চন্দন গুঁড়া। চন্দনের গুঁড়া পানিতে গুলে পেস্ট তৈরি করে হাত ও পায়ের তালুতে মেখে শুকানোর জন্য ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পুর
সামান্য গরম পানিতে কর্পুর গুলে হাত ও পা ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও কর্পুরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে একাধিকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে।
অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না একদমই।
অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা,কফি) ও অ্যালকোহল পান সীমিত পরিসরে নিয়ে আসতে হবে।
উলেন বা পলিস্টারের মোজা পরিধান করা যাবে না।
জুতা ও মোজা নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন, প্রয়োজনে জুতার ভেতরে পাউডার ব্যবহার করুন।
সবসময় মনে রাখবেন, শরীরের কোন সমস্যা হলে নিজেই নিজের সাথে ডাক্তারি করবেন না। সকল রোগের মহাঔষধ কখনও প্যারাসিটামল হতে পারে না। হাত-পা ঘামা নিয়ে অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁর পরামর্শ মত ওষুধ সেবন করুন।
চিকিৎসক অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করতে দিতে পারেন। এছাড়াও বিশেষ এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। সেটিও চিকিৎসকের পরামর্শেই। এছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।