অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১০:৪১ পিএম
করোনা ও ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপের রেশ থাকতেই থাকতেই এবার হানা দিয়েছে নতুন বিপদ। নতুন এই বিপদের নাম শিশুদের হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ। অপরদিকে আবহাওয়াজনিত রোগেও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তাই শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম এক-দুইদিন দিন জ্বর, তারপর শরীরে ফোসকা উঠতে শুরু করে। মূলত দুই ধরনের জীবাণু কক্সস্যাক্যিভাইরাস ও এনটিররস ভাইরাস থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয়। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ।
এদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শত শত রোগীকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে শিশুদের হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিস।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আসা ভুক্তভোগী মায়েরা জানান, এলাকাতে একদিন ওষুধ দিলে ৫ দিন দেয় না। কীভাবে মশা ধ্বংস হবে। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রতিদিনই শতাধিক শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শিশু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের পর চিকিৎসা নিয়ে জ্বর কমলেও শিশুদের নতুন এ উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে এক-দুইদিন দিন জ্বর, এরপর শরীরে ফোসকা উঠতে শুরু করে।
হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিস বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকরা।
এর বাইরেও ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, জ্বর ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্তের হারও বেশি। ঢাকা শিশু হাসপাতালের সব শয্যাই পূর্ণ। এতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের সিট না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে। প্রতিদিন দুইশ’র বেশি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় চিকিসাৎ দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের।
হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের লক্ষণ:
এ সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, প্রথমে জ্বর আসে, ক্রমে শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকে দেখা দেয় লালচে, ফোলা ফোলা চাকতি। অনেক সময়ে এই চাকতিগুলো একত্রিত হয়ে বড় চাকতি যা আকার নেয়। হাতে, পায়ে কিম্বা মুখে এ ফোলা অংশগুলো হয়ে থাকে।
মুখের লালা বা মিউকাস থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে গলায় অস্বস্তি, খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
এই সংক্রমণ কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হতে শিশুদের সাধারণত দিন দশেক সময় লাগতে পারে। ওষুধে এই লক্ষণগুলোর যন্ত্রণা থেকে কিছুটা নিরাময় পাওয়া যায়। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুলে এই সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।