ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক ছাতার তলায় চলে আসে ১৬টি বিরোধী দল।
মমতার ডাকে সাড়া দিয়েই শারদ পওয়ার, অখিলেশ যাদব, মেহেবুবা মুফতি, মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা একজোট হন। মমতার ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজোট হয়ে প্রার্থী দেবে বিরোধী শিবির।
এদিন মমতার ডাকা বৈঠকে মোট ১৬টি দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। কংগ্রেস এবং বামেদের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন বৈঠকে। আম আদমি পার্টি, টিআরএস, অকালি দল, বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া প্রায় সব বিজেপিবিরোধী দলই এই বৈঠকে যোগ দেয়।
ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন শারদ পওয়ার। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক শেষে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বিরোধীরা। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী দিতে চায়। এমন একজনকে প্রার্থী করতে চায় যিনি ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করবেন। এবং এই সরকার যাতে আর দেশের ক্ষতি করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈঠক শেষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত সব দল একযোগে শারদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তবে, আগামী দিনে পাওয়ারকে ফের প্রার্থী হওয়ার জন্য বোঝানো হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মমতা। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হলে সব বিরোধী দল তাঁকে সমর্থন করবে। না হলে বিকল্প প্রার্থীর কথা ভাবা হবে।