কেন পদত্যাগ লিজ ট্রাসের, কে হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৭:৫৯ পিএম

কেন পদত্যাগ লিজ ট্রাসের, কে হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। দলের মধ্যে নজিরবিহীন সমালোচনা ও তোলপাড়ের মধ্যে মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। তাঁর পদত্যাগে ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাসে লিজ ট্রাস হলেন সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী।

গদি রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা  করেছিলেন লিজ ট্রাস। এরই অংশ হিসেবে পদত্যাগের আগে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নীতি নির্ধারণী ১৯৯২ কমিটির প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাকে ছাড়তেই হলো।

https://www.facebook.com/thereportdotlive/videos/519801842912102

মূলত স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির নেতৃত্বে ১৯২২ কমিটির সদস্যরা ট্রাসের সঙ্গে কথা বলার পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রাস। গ্রাহাম ব্র্যাডির কাছে অন্তত ১৩ জন টোরি এমপি লিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠান। যদিও কনজারভেটিভ পার্টির নিয়ম অনুযায়ী নতুন দায়িত্ব নেওয়া কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের মধ্যে অনাস্থা ভোট আয়োজন করা সম্ভব না। তবে প্রয়োজনে এ নিয়ম পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু এটি আর করার প্রয়োজন হয়নি। ট্রাস নিজেই পদত্যাগ করেছেন। 

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিজ ট্রাস।বিবৃতিতে সদ্য পদত্যাগকারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী  বলেন, “তিনি যে জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তা তিনি দিতে পারেননি। তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

‘ব্যাপক অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতা’র সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে তিনি দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারেননি বলেও ওই বিবৃতিতে জানান লিজ।

দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহের মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস মিনি বাজেট ও কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়ে দেন। নিজ মন্ত্রিসভার প্রথম অর্থমন্ত্রী কোওয়ার্সি কোয়ারতেংকে সরিয়ে দেন। গতকাল বুধবার সরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকেও। তবে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, সুয়েলা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।  এসব কারণে প্রশাসনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন তোলপাড় চলছিল। তার দলের এমপিদের মধ্যেও ঐক্য ও শৃঙ্খলার নাটকীয় ভাঙ্গনের মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে-লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর এখন কাকে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ক্রিস্পিন ব্লান্ট বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে নেতা ও প্রধানমন্ত্রী করতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে, লিজ ট্রাসের কাছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে হেরে যাওয়া ঋসি সুনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে বরিস জনসনকেও ফেরানো হতে পারে। তাছাড়া বুধবার পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলাও নেতৃত্ব পাওয়ার তালিকায় আছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করার পর সেপ্টেম্বরে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে ভোটাভুটির মাধ্যমে লিজ ট্রাসকে দলের প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেন। দলের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রাস। 

Link copied!