নাইজারের খড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি একটি বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৬ শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছেন। সোমবার (৯ নভেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মারাদি শহরে ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত শিশু শিক্ষার্থীদের বয়স ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন মারাদি শহরের মেয়র চাইবো আবু বকর।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে নাইজারের মারাদি অঞ্চলের ওই বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলার সময়ে আগুন লাগলে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়টি ছিল খড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের ২৮টি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে গেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে নাইজার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনা নাইজারের মানুষকে আবারও শোকের মধ্যে ফেলেছে। খড় এবং কাঠের তৈরি ক্লাসরুম দেশে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ নাইজার। আফ্রিকার এই দেশটি নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও খড় ও কাঠের শেড নির্মাণ করে স্কুলভবনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। চলতি বছরের গত এপ্রিলে নাইজারের রাজধানী নিয়ামের একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ শিশু মারা যায়।