বেটা
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পাঁচটি প্রতিশ্রুতি পূরণের অঙ্গীকার করেছে ভারত।স্থানীয় সময় সোমবার (১ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।সূত্র: আনন্দবাজার
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা পুরোপুরি কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত। সব মিলিয়ে মোট ৫টি প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বের কাছে ভারতের ‘পঞ্চামৃতের উপহার’ বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
ভারতের পাঁচ প্রতিশ্রুতি
১. ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন বাড়িয়ে ৫০০ গিগাওয়াট করবে ভারত।
২. ওই একই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশই পূরণ করা হবে পুনর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে।
৩. চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ কার্বন দূষণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার থেকে ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।
৫. ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত।
দিকে, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধে একমত হয়েছে বিশ্ব নেতারা। প্রতিশ্রুতিতে সাক্ষর করতে রাজি হয়েছে একশো দেশ। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আসক্তি মানবতাকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মানুষের কারণে জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবী দিন দিন উষ্ণ হচ্ছে। আর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে।
এমতাবস্থায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে বিশ্বের ২০০টি দেশের কাছে তাদের পরিকল্পনা জানতে চাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে চলছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
