মহামারি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর থেকেই আবিষ্কারক বিভিন্ন দেশ একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। এর স্বীকৃতি আর কার্যকারিতা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিকেদনে বলা হয়েছে, এক রুশ গুপ্তচরের বিরুদ্ধে টিকার ফর্মুলা চুরির অভিযোগ তুলেছে বৃটিশ কয়েকটি গণমাধ্যম। দ্য সানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলা চুরি করেছে ওই গুপ্তচর। তারই আদলে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে রাশিয়া।
এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয় ব্রিটেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের একমাস পরই স্পুটনিক-ভি আবিষ্কার করে রাশিয়া। দুই টিকার কার্যপ্রণালিও একই রকম।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং স্পুটনিক দুটোই মানবদেহের প্রতিরক্ষা প্রণালিকে সক্রিয় করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে। ব্রিটিশ টিকার ফর্মুলা চুরির জন্য ২০২০ সালে অক্সফোর্ডের সার্ভারে সাইবার হামলাও করা হয়।
এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না দিলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন এ ধরণের অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই। তবে এটাও সত্য যে এ ধরণের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিদেশি শক্তিগুলো সব সময়ই আমাদের সংবেদনশীল তথ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ ধরণের অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া মস্কোর। স্পুটনিক ভি কর্তৃপক্ষ বলছে যথাযথ শর্ত এবং পদক্ষেপ অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে তাদের ভ্যাকসিন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এসব একেবারেই অবান্তর বিষয়। এসব নিয়ে মন্তব্য করার কোনো অর্থ হয় না। আমার মনে হয় না ব্রিটেন কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউই এ ধরণের অভিযোগকে গুরুত্বের সাথে নেবে।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। করোনার বিরুদ্ধে এ টিকাকে ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।