সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৯:২০ এএম
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মালদ্বীপ, সিংগাপুর ও থাইল্যান্ডে অবস্থানের পর দেশে ফিরেছেন প্রচণ্ড জনবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের পর অর্থাৎ শনিবার ভোরের দিকে থাইল্যান্ড থেকে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট।
দেশটির সিনিয়র এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি,আলজাজিরা, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশে পৌঁছানোর পর তাকে দেশটির মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদেরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গোতাবায়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মন্ত্রী এমপিদের ভিড় লেগে যায়।উড়োজাহাজ থেকে নামার পর তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকরা ।
দেশটির স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গোতাবায়া রাজধানী কলম্বোর একটি বাংলাতো থাকবেন। তার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে কষ্টদায়ক অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়ে শ্রীলংকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় গোতাবায়া রাজাপক্ষের গঠন করা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন। গত ৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টে ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। ওইসময় গোতাবায়া রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট বাসভবন থেকে পালিয়ে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। পরে গত ১২ জুলাই শ্রীলংকার একটি সামরিক বিমানে পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি। মালদ্বীপের জনগণ ও দেশটিতে থাকা প্রবাসী শ্রীলংকানরা গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তিনি পরে সিংগাপুর চলে যান এবং সেখান থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।তার এ ঘোষণার পর রনিল বিক্রমাসিংহকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট বানানো হয়। পরে পার্লামেন্টের ভোটে তিনিই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।