ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের ঘটনায় বুধবার সুড়ঙ্গে আটকে পরা ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। পানির প্রবল স্রোত থেকে বাঁচতে তারা সুড়ঙ্গের ছাদের লোহার রড ধরে ঝুলেছিলেন বলে জানা যায়। উদ্ধারকারীরা জানায়, বড় আরেকটি সুড়ঙ্গে আটকা পরা ৩৫ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৫০ জন।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) অন্তর্ভুক্ত দেরাদুনভিত্তিক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং (আইআইআরএস) জানায়, হিমবাহ ধসে নয়, মূলত ভূমিধসের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের সেনাবাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর প্রায় ৬০০ জন উদ্ধারকারী এ অভিযান পরিচালনা করছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামগুলোতে ঋষিগঙ্গার নদীর উপর দিয়ে দড়ির সাহায্যে খাবার, নিরাপদ পানি ঔষধ পৌঁছে দিচ্ছেন সেনাবাহিনী ও আইটিবিপি’র সদস্যরা। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ১৪টি গ্রাম।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়ত বলেন, ‘আইটিবিপি’র সদস্যরা পাহাড়ি পথে ৫-৬ কিলোমিটার হেঁটে গ্রামে খাবার, ওষুধ এবং পানি পৌঁছে দিয়ে আসছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি