এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম
‘মোদি পদবি’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, গত মাসে দায়ের করা মানহানি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জামিন পেয়েছেন। পাশাপাশি তার সাজা স্থগিত করেছেন আদালত। সোমবার গুজরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
এই আদালতই মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ওই কারাদণ্ডের বিরুদ্ধেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৩০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা রাহুল।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার আদালতে দুটি আবেদন করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রথম আবেদনে তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় আবেদনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। সোমবার সুরাটের দায়রা আদালত জানিয়েছেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ এপ্রিল। ওইদিন পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং তাঁর সাজাও ওইদিন পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে।
এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সুরাট আদালতে উপস্থিত হন তাঁর বোন তথা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এছাড়া, রাহুল গান্ধীকে নৈতিক সমর্থন জানাতে গুজরাটে আসেন কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী – অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু। বোন প্রিয়াঙ্কা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাহুল গান্ধীর সুরাট সফরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে বিচার বিভাগের উপর চাপ দেওয়ার জন্য এটা একটা ‘শিশুসুলভ প্রয়াস’।
প্রসঙ্গত, ভারতের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো সংসদ সদস্য দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তের আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়? তার এই মন্তব্যের জন্য গুজরাটে মামলা রুজু হয়। এর ভিত্তিতেই রাহুলকে সাজা দেন সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।