স্প্যানিশ ডিউক ফার্নান্দো ফিৎজ-জেমস স্টুয়ার্ট খুব শখ করে দ্বিতীয় মেয়ের নাম রেখেছিলেন একটু বড় করে।
কিন্তু নিবন্ধন করতে গিয়ে তিনি পড়লেন আইনি জটিলতায়। কারণ, নামটি এতটাই বড় যে আইনিভাবে তা নিবন্ধন করা যাবে না। তাই অবশেষে,সেই নামের ওপর চালাতে হয়েছে কাঁচি।
হুয়েসকার-এর ১৭তম ডিউক ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়া পালাজুয়েলো সম্প্রতি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করেন। এর অংশ হিসেবে তাঁর নামকরণও হয়।
নাম রাখা হয় সোফিয়া ফার্নান্দো দোলোরেস কায়েতানা তেরেসা অ্যাঞ্জেলা দে লা ক্রুজ মাইকেলা দেল সান্তিসিমো স্যাক্র্যামেন্ট দেল পারপেতু সোকোররো দেল লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ এ দে টোদোস লস সান্তোস।
ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমসের সরাসরি বংশধর ফার্নান্দো ফিৎজ-জেমস স্টুয়ার্টকে নাম নিবন্ধনের নিয়ম সম্পর্ক জানানো হয়।
সর্বোচ্চ কত শব্দের নাম রাখা যাবে, তা–ও বলে দেওয়া হয়। স্পেনের নাম সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট শব্দের বেশি নাম যোগ করলে রাষ্ট্রীয় রেকর্ডে সেটা সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
২৫ শব্দের নামটি মৃত ডাচেস অব আলবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ধর্মীয় শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে রাখা হয়েছে। যেমন নামের প্রথম শব্দ সোফিয়া রাখা হয়েছিল তাঁর মা সোফিয়া ও দাদি সোফিয়া বারোসোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
ফার্নান্দো ছিল বাবার প্রতি, ডিউক অব হুয়েসকার ছিল তাঁর বড় দাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। বাকি অংশগুলো এমন নানাজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নামের অংশ করা হয়েছিল।
৭ অক্টোবর স্পেনের সেভিল শহরের ঐতিহাসিক সেন্টার স্যান রোমানে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে ডিউকের প্রথম কন্যার দীক্ষাগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল।
ডিউক ডাচেস অব আলবার আট নাতি-নাতনির একজন। ডিউক ডাচেস অব আলবা স্পেনের সবচেয়ে ধনী নারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পদবিধারী ব্যক্তি।