আমেরিকায় ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ করে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিন নারী। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আমেরিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি বলছে, নিউ মেক্সিকোর একটি স্পাতে গিয়ে এইডসে আক্রান্ত হন ওই তিন নারী। তাঁরা তিন জনই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করান।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত স্পার মালিক ২০২২ সালে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর দায়ে তাঁকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল কী?
বয়স হলে ত্বকে তার ছাপ পড়ে। পুষ্টিকর খাবার, নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময়ে আশানুরূপ ফল না পেলে আজকাল এই ধরনের চিকিৎসা করান নারীরা। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বলিরেখা, ওপেন পোর্স, ব্রণ ও মেছতার দাগ— সবই দূর করা যায় এই ফেসিয়ালের সাহায্যে।
এই ফেসিয়াল কীভাবে করে?
যে ব্যক্তি এই ফেসিয়াল করাতে চান, প্রথমে তাঁর শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত সংগ্রহ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে প্লাজ়মা আলাদা করে ত্বকের উপরের স্তরে সেই তরল ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে নতুন কোষ তৈরি হয় তাড়াতাড়ি। পুরনো ক্ষত সারাতে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদন বেড়ে যায়। যেহেতু এই ফেসিয়ালে ‘লোকাল অ্যানাসন্থেসিয়া’ দিয়ে ‘মাইক্রোনিড্ল’ পদ্ধতিতে করানো হয়, তাই ত্বকে বিশেষ ব্যথা অনুভূত হয় না। কিন্তু এই ফেসিয়ালে সুচের ব্যবহার রয়েছে। তাই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক না হলে এইডসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পাতে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করা এক নারীর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ২০১৮ সালে প্রথমে সামনে আসে।