মিয়ানমারে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ভূমিধস হয়ে একটি জেডখনিতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আট জন।
গত রবিবার উত্তর কাচিনের হাপাকান্ট শহরের বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ৩১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে উদ্ধার কার্যরত জরুরি কর্মীরা।
উদ্ধারকারীরা জানান, খনির খননের ফলে প্রায় ১৫০-১৮০ মিটার (৫০০-৬০০ ফুট) উঁচু মাটির একটি বিশাল স্তূপ প্রচণ্ড বৃষ্টির পর আলগা হয়ে যায় এবং ধসে পড়ে। অবশ্য বর্ষাকালে খনির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। তবে ভূমিধসে আটকা পড়া ব্যক্তিরা স্থানীয় বাসিন্দা এবং কাদা থেকে মূল্যবান কিছু পাওয়ার আশায় তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে খুবই সমৃদ্ধ। স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথরের বেশ কয়েকটি খনি ও দামি কাঠ রয়েছে এখানকার অরণ্যগুলোতে। কিন্তু এসব খনিজ ও বনজ সম্পদ আহরণে প্রায় কোনো সরকারি নির্দেশনা মানা হয় না।
ক্ষমতাসীন জান্তা এবং জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আয়ের বড় একটি উৎস কাচিন ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর খনিজ ও বনজ সম্পদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। খনি ও অরণ্যের দখল নিয়ে সরকারি ও জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘাত হয়ে থাকে।
এছাড়া খনি এলাকাগুলোতে বর্ষাকালে কার্যক্রম ও আকরিক উত্তোলনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অধিকাংশক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা মানা হয় না। ফলে প্রতি বছরই বর্ষাকালে খনি দুর্ঘটনায় দেশটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। ২০২০ সালে ভূমিধসে একই এলাকায় ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছিল।