এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
পাকিস্তানের সংসদ ভবন চত্বরের মসজিদ থেকে জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৯ এপ্রিল মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাধ্য হয়েই তাই পাকিস্তানের এমপিরা খালি পায়ে ঘরে ফিরেছেন। গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে হতেই বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির সংসদ ভবনের মতো সংরক্ষিত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা টপকে কীভাবে জুতা চুরির এ ঘটনা ঘটেছে, সেটা নিয়েই উঠেছে বড় এক প্রশ্ন। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জুতা চুরির ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, সেটা নিরাপত্তারক্ষীরা জানেন না। কারণ ঘটনার সময় তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের সংসদ ভবন চত্বরে থাকা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছিলেন এমপি, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারা। নামাজ শেষে তারা সবাই আবিষ্কার করেন তাদের জুতা গায়েব। অনেক খোঁজাখুজির পরেও নিজেদের জুতা না পেয়ে খালি পায়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে তাদের।
জুতা চুরির ঘটনায় পাকিস্তানের সংসদের প্রেস ইনচার্জ উসমান খান বলেন, ‘জুতা চুরি নিয়ে হাসবো, না কাঁদবো, বুঝছি না। শত শত নিরাপত্তরক্ষীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতগুলো জুতা চুরি হয়ে গেল সেটাই বুঝতে পারছি না।’
কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘেরা সংসদ চত্বরের মসজিদ থেকে অন্তত ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তানে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। জুতা চুরির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীরা স্পষ্টতই অনুপস্থিত থাকায় পরিস্থিতি জটিল থেকে ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে। পাকিস্তানের সংসদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিরাপত্তাব্যবস্থার ত্রুটি ছিল কিনা সেটা নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ধারণা করছেন, ‘ভিক্ষুক মাফিয়ারা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। হতে পারে এই ভিক্ষুক মাফিয়ারাই জুতা চুরি করতে পারে।’
করাচি পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এআইজিপি) ইয়াকুব মিনহাস বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে, ভিক্ষুক মাফিয়ারা কোথা থেকে এলো। আদৌ তারা জড়িত কিনা সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে।’
সূত্র: জাগরণ (হিন্দি ও ইংরেজি)