হামাসের হামলা ও ইসরায়েলের অভিযান নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলে সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় ইসরায়েলি সেনা অভিযানের প্রতি `অটুট সমর্থন` জানাতে তেল আবিব যাচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে বলা হয়, আগামীকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল সফর করবেন। সে সময় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে ‘পরবর্তী ব্যবস্থা’ নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
ইসরায়েল সফর শেষে জর্ডান যাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেখানে দেশটির বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আল হুসেইন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করবেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসন্ন জর্ডান সফর সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাস ফিলিস্তিনিদের সম্মান ও আত্ম-অধিকারে পক্ষে কাজ করেনি—এমন বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন গাজায় বেসামরিক মানুষদের মানবিক সহায়তার বিষয়ে কথা বলবেন।’
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইতিমধ্যে মিশরের প্রেসিডেন্টের সাথে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, দুই নেতা গাজায় মানবিক সংকট দূর করতে চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এর আগে সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিট অনুষ্ঠানে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়—আমেরিকার মিত্র যদি গাজা দখল করে তাহলে আপনি সমর্থন দেবেন কি? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা বড় ভুল হবে। হামাস সব ফিলিস্তিনির প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে সেখানে অভিযান চালিয়ে চরমপন্থিদের বের করে দেওয়া জরুরি।’
গাজা অভিযানে মার্কিন সেনারা অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি এর প্রয়োজন নেই। ইসরায়েলের সুদক্ষ সেনাবাহিনী আছে। তাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তা দিয়ে সহায়তা করবো।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর দেশটির সমর্থনে ইতিমধ্যে দুইটি রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।