ফ্রান্সে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটে কট্টর ডানপন্থীদের জয় হয়েছে। এই নির্বাচনে হতাশাজনক ফল ঘরে তুলেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট। নির্বাচনের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট। এর আগে মেরিন লে পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি দল আরএনের প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসার পূর্বাভাস আগে থেকেই বিভিন্ন জনমত জরিপে উঠে আসছিল।
রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে জয়ী হয়ে ডানপন্থিরা সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
তবে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মেরিন লে পেনের উগ্র ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
গত ৬-৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরএনের হাতে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোটের ভরাডুবি হলে, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ বেশ হঠাৎ করেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ মিত্রকেও অবাক করে দেন তিনি। ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তকে অনেকে বাজি ধরার সঙ্গে তুলনা করলেও এখন এর উল্টো ফলে ধারণা করা হচ্ছে এখন পার্লামেন্টে আগের চেয়ে ম্যাক্রোঁর জোট ছোট আকার ধারণ করবে এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ক্ষমতা বাকি মেয়াদের তিন বছরের মধ্যেই খর্ব হয়ে যাবে।
ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় পোলিং সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, রোববারের নির্বাচনে আরএন পেয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট অ্যালায়েন্স ২৮ দশমিক ৫ থেকে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ম্যাক্রোঁর জোট পেয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। পোলিং সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে আরএন। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের পর তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পাবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি