মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে উত্তর গাজা থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে ৫ হাজারই শিশু।
এই অবস্থায় কাতারের মধ্যস্থতায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে জিম্মি নারী ও শিশুদের মুক্তির বিষয়ে শেষ মুহূর্তের দর–কষাকষি করছে ইসরায়েল ও হামাস।
এ নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুলরহমান আল-থানি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ মনে করেন তিনি। তবে আবদুলরহমান বলেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব। কারণ, সম্ভাব্য চুক্তির পথে চ্যালেঞ্জ ‘খুবই সামান্য’।
রবিবার আবদুলরহমান জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলের সঙ্গে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট–এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জিম্মি নারী-শিশুদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ইসরায়েল, হামাস ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শনিবার প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্ট–এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। ছয় পৃষ্ঠার ওই সাময়িক সমঝোতা চুক্তির রূপরেখার ব্যাপারে জানেন—এমন ব্যক্তিরা সংবাদমাধ্যমটিকে এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সমঝোতার আওতায় সব পক্ষকে কমপক্ষে পাঁচ দিনের জন্য যুদ্ধ স্থগিত করতে হবে। এ সময়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টা পরপর ৫০ জন বা তার বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাস প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে চুক্তি হয়েছে এমন সব তথ্যকে উড়িয়ে দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘জিম্মিদের নিয়ে অনেক অপ্রমাণিত গুজব, অনেক ভুল প্রতিবেদন ছড়িয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। তবে আমি অঙ্গীকার করছি, যখন কিছু বলার থাকবে, আমরা আপনাদের তা জানাব।’
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।