গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২৩

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২৩

ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি দখলের আগে বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী শহরটিতে তীব্র হামলা চালিয়েছে। এদিন তাদের হামলায় গাজায় আরও ১২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এটি এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ঘটা সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা।

ইসরায়েল গাজা সিটি ফের দখল করার পরিকল্পনা করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধর শুরুর দিকেও তারা গাজা সিটি দখল করেছিল, কিন্তু পরে বাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা দখলে নিতে তাদের সম্ভবত আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এদিন ইসরায়েলি বিমান ও ট্যাঙ্কগুলো গাজা সিটির পূর্বাংশে বোমা ও গোলাবর্ষণ করে। রাতে চালানো বোমা হামলায় গাজা সিটির জেইতুন ও শেজাইয়া এলাকার বহু বাড়ি ধ্বংস হয়।

আল-আহলি হাসপাতাল জানিয়েছে, জেইতুনের এক বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের পূর্বাংশেও ট্যাংক নিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ট্যাংকের গোলাবর্ষণে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে পৃথক দুটি ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ত্রাণের খোঁজে আসা নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা দুটির বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছিটমহলটিতে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে তিন শিশুসহ আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের নিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভূখণ্ডটিতে অনাহারে ও অপুষ্টিতে ২৩৫ জনের মৃত্যু হল। এদের মধ্যে ১০৬ জন শিশু। ইসরায়েল অনাহার ও অপুষ্টিতে হওয়া এসব মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, কেরেম শালোম ও জিকিম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণবাহী প্রায় ৩২০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো আরও ৩২০টি ট্রাক সংগ্রহ করে ত্রাণ বিতরণ করেছে। এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি ট্যাংকার থেকে জ্বালানি বিতরণ করা হয়েছে এবং বিমান থেকে ৯৭ প্যালেট ত্রাণ ফেলা হয়েছে।

কিন্তু জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, চাহিদার বিস্তৃতির তুলনায় এসব ত্রাণ যথেষ্ট নয়।

Link copied!