ডেনমার্কের উত্তরাঞ্চলে ২০২১ সালে কুন্সটেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ক্যানভাসে ছবি আঁকার জন্যে এক শিল্পীকে ৮৩ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিল।
ড্যানিশ ওই শিল্পীর নাম জেনস হানিং। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তাকে বলেছিল ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়াতে বার্ষিক আয় নিয়ে তার নিজের আঁকা দুটো পুরনো ছবি নতুন করে আঁকতে, যেখানে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করা হবে কড়কড়ে নোট।
কিন্তু শিল্পী সেই শিল্পকর্ম তৈরি না করে জাদুঘরে দুটি খালি সাদা ক্যানভাস পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর অর্থগুলো করেছিলেন আত্মসাৎ। অভিযুক্ত শিল্পী জেনস হ্যানিং নিজেই এই প্রজেক্টের নাম দিয়েছিলেন `অর্থ নাও এবং পালাও`। আর সেভাবেই তিনি কাজ করেছেন।
তিনি আরও জানান, শিল্পকর্মটি তার বর্তমান আর্থিক অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে।শিল্পকর্মের জন্য ইউরো ও ক্রোনার ব্যাংকনোটে অর্থ দেয়ার পাশাপাশি পারিশ্রমিক হিসেবে আরো তিন হাজার ৯০০ ডলার দিয়েছিল জাদুঘর।
আদালত বলছে, জাদুঘর ও হ্যানিংয়ের মধ্যে চুক্তিতে বলা হয়েছে যে নগদ ব্যাংক নোটগুলো প্রদর্শনের পর ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পর হ্যানিং নগদ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করলে জাদুঘর আইনি ব্যবস্থা নেয়।
সেই মামলা অনুযায়ী ডেনমার্কের একটি আদালত গত সপ্তাহে রায় দিয়েছে যে জেনস হ্যানিংকে তার চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য আলবার্গে কুনস্টেন মিউজিয়ামকে প্রায় ৭০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে।
১৮ সেপ্টেম্বরের রায়ে কোপেন হেগেনের জেল-আদালত আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হ্যানিং জাদুঘর কর্তৃক প্রদত্ত মূল অর্থ থেকে প্রায় ৬ হাজার ডলার রাখতে পারবেন, যা একজন শিল্পীর ফি হিসাবে গণ্য করা উচিত।
২০২১ এর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ এর ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটি খালি ক্যানভাস নিয়ে চলছিল। চুক্তি লঙ্ঘন হওয়া সত্বেও কোনো কিছু না এঁকেই খালি ক্যানভাসকে উচ্চমার্গীয় চিত্রকর্ম দাবি করছেন জেনস হ্যানিং।
শিল্পী হ্যানিং জানান, ইস্যুটিতে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আয় করেছে। কেননা ঘটনাটি বেশ প্রচারিত হয়েছে। সর্বশেষ, আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে রীট করেছেন দায়ী শিল্পী হ্যানিং।