জুলাই ৭, ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনে হুতি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসি লিখেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিমান হামলার সতর্কতা দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে বলার পরপরই হুদাইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরে হামলা হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডারও ছিল। হুতি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালে এই জাহাজটি ছিনতাই করে। ইসরায়েলের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় নৌযানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে জাহাজটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং সেগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়।
বিবিসি লিখেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়।
হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম জানায়, হুদাইদাহ নিশানা করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কাৎজ বলেন, ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’ এর অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য হুতিরা চরম মূল্য দিতে থাকবে।
এক্স পোস্টে কাৎজ বলেন, “ইয়েমেনের পরিণতি তেহরানের মতই হবে। ইসরায়েলকে যে কেউ আঘাতের চেষ্টা করলে নিজেই আঘাত পাবে। যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, তাদের সেই হাত কেটে ফেলা হবে।”
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে নিয়মিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলছে, ইসরায়েল ও দেশটির নাগরিকদের ওপর বারবার আক্রমণের জবাবে ইয়েমেনের বন্দরগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
তারা এও বলেছে, ইরানি শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছিল ইয়েমেনের ওই বন্দরগুলো। আর এসব অস্ত্র ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার খানিক বাদে হুতি বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের হামলা প্রতিহত করতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী রাস কানাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রও হামলার লক্ষ্য ছিল।
হুদাইদাহর ওপর সবশেষ হামলার আগে গত মে ও জুন মাসে শহরটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি নৌবাহিনী।
হুদাইদাহ বন্দরই ইয়েমেনের কোটি মানুষের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশ দুয়ার। বন্দরটি গত এক বছরে একাধিকবার ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য হয়েছে।