দেড় মাস ধরে চলে আসা হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের লাগাম টানার চেষ্টায় এসেছে নতুন মোড়। কয়েকদিনের বৈঠকের পর কাতারের মধ্যস্থতায় এ চার দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।
বুধবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাদের অপহরণ করেছে তাদের মধ্যে ৫০ জনের মতো জিম্মিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মুক্তি দেবে। এর বদলে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘আপাতত’ হামলা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। এ সময় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী যানবাহন গাজায় প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়াও মুক্তি মিলতে পারে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫০ জনের, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
তবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদিত নথি এখনো হাতে আসেনি বলে জানান পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে আরও বলেন, ভোটাভুটির পর প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তি হওয়া মানে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া নয়, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরও উদ্যমী হয়ে নামবে বলে প্রতিজ্ঞা জানান তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ। আর ২৪০ জনের মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
হামলা ও জিম্মির ঘটনার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী যা চলছে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে। প্রাণ হারিয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ যাদের মধ্যে শিশুই বেশি। উদ্বাস্তু হয়েছে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। এ মানবিক বিপর্যয়ে গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।