ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৩:০২ পিএম

ডেনমার্কে কোরআন  পোড়ানোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে কোনো ব্যক্তি চাইলেই প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের অংশ হিসেবে জনসম্মুখে কোরআন পোড়াতে পারবে না। কারন ডেনমার্কে ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ করেছে ।

ইউরোপ দেশটির পার্লামেন্ট এ বিষয়ে একটি আইন পাশ করেছে। এই আইন অনুযায়ী কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ৭ ডিসেম্বর ) ডেনিশ আইনসভা ফলকেটিংয়ে এই বিলটি পাশ হয়। ১৭৯ আসনের ফলকেটিংয়ের ৯৪ জন সদস্য বিলটির পক্ষে ভোট দেন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ৭৭ জন। 

সদ্য পাশ হওয়া আইনে বলা হয়েছে, এই আইন যেকোনো স্বীকৃত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে এমন যেকোনো গ্রন্থের সাথে অগ্রহণযোগ্য আচরণ করা নিষিদ্ধ করছে।

এই আইনের ফলে এখন থেকে কেউ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো গ্রন্থে অগ্নিসংযোগ করলে, তা ছিঁড়ে ফেললে বা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সেসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। 

এই আইন যারা অমান্য করবে তাদের অপরাধের শাস্তি হিসেবে জরিমানার মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি দুই বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।

ডেনমার্কের পার্লামেন্ট ফলকেটিং আইনটি পাশ করলেও তা এখনই কার্যকর হবে না। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃত রানি মার্গারেট নতুন এই আইন স্বাক্ষর না করলে তা আইনে পরিণত হবে না। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই মাসেই বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন।

এই আইনের বিষয়ে ডেনিশ আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই আইনটি আরোপ করা হয়েছে মূলত ‘সিস্টেমেটিক মকারি বা অপমানজনক ঘটনা’ ঘটানো থেকে বিরত রাখতে; যা ডেনমার্কে সন্ত্রাসবাদ উসকে দিতে পারে।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন বলেছেন, ড্যানিশ সরকার কোরআন পোড়ানো রোধে আইনি উপায় খুঁজে বের করবে, যাতে করে অন্যান্য দেশের দূতাবাসের সামনে কেউ কোরআনের কপি পোড়াতে না পারে। 

রাসমুসেন আরও বলেছেন, দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ানো চরমপন্থা এবং ঘৃর্ণিত কাজ। কয়েকজন বেপরোয়া ব্যক্তি এই কাজ করেছে। এই কয়েকজন ব্যক্তির কর্মকাণ্ড গোটা ড্যানিশ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে না।

এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থিদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। আর তাই দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভসহ কিছু পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করার আইনি উপায় খতিয়ে দেখছে কোপেনহেগেন।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, তারা এমন কিছু বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করতে চায় যেখানে “অন্যান্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে এবং যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ ডেনমার্কের জন্য উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”
 

Link copied!