মিয়ানমারের বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুনে তীব্র জ্বালানিসংকট দেখা দিয়েছে। শহরের পেট্রলপাম্পগুলোর সামনে জ্বালানি কেনার জন্য যানবাহনের লম্বা সারি দেখা গেছে।
শহরবাসী ও দেশটির জান্তা–নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর ) এ খবর জানিয়েছে।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর ) থেকে জ্বালানিসংকটের মুখে পড়েছেন ইয়াঙ্গুনবাসী। থিলাওয়া বন্দর থেকে জ্বালানি সরবরাহ বিলম্ব হওয়ায় পেট্রলপাম্পগুলোতে এ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কেন জ্বালানি সরবরাহে বিলম্ব হয়েছে, কেনই–বা সংকট এতটা তীব্র হয়েছে—এসব নিয়ে প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি।
ইয়াঙ্গুনের জ্বালানি চাহিদার বেশির ভাগ থিলাওয়া বন্দর থেকে সরবরাহ করা হয়। ২০২১ সালে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা কিয়াটের মান কমে গেছে। এর ফলে জ্বালানি আনতে আমদানিকারকদের সক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। সংকটের এটিও একটি কারণ।
বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর ) সকালে ইয়াঙ্গুনের পেট্রলপাম্পগুলোর সামনে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বেশ বড় সারি দেখা গেছে। ইয়াঙ্গুনের উত্তরাঞ্চলের বাগো এলাকায় কয়েকটি পাম্প জ্বালানি বিক্রি সীমিত করে দিয়েছে। কাউকে একসাথে ২০ লিটারের বেশি জ্বালানি দেওয়া হচ্ছে না।
ইয়াঙ্গুন থেকে ফায়ারগি এলাকার দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। সেখানকার একটি পেট্রলপাম্পের কর্মী বলেন, ‘জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় সপ্তাহখানেক পাম্প বন্ধ ছিল। আজ সকালে খোলা হয়েছে। আমাদের কাছে যে পরিমাণ পেট্রল আছে, তা অল্প সময় পর শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু পাম্পের সামনে এখনো গাড়ি ও মোটরসাইকেলের লম্বা সারি রয়েছে।’
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে পড়েছে। তার ওপর গণতন্ত্রের দাবিতে চলা দীর্ঘদিনের আন্দোলন এই চাপকে আরও তীব্র করেছে। মিয়ানমারজুড়ে সামরিক জান্তার সাথে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে।
চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিয়ানমারের জিডিপি ৩ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে এখনো তা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম রয়েছে।