এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাধার কারণেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চুক্তিতে রাজি।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প বলেছেন, জেলেনস্কির জন্যই যুদ্ধ বন্ধ করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর আগে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, তিনি কিছুতেই ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার এলাকা বলে স্বীকার করবেন না।
মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার এলাকা বলে স্বীকৃতি দেয়ার কথা আছে।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমি মনে করি, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছি, কিন্তু জেলেনস্কির সঙ্গে তা হয়নি। আমি মনে করেছিলাম, জেলেনস্কির সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছানো সহজ হবে। কিন্তু এটা অনেক কঠিন হচ্ছে।”
ট্রাম্প বলেছেন, “আমি মনে করি, এরপরেও চুক্তি হবে। কারণ, আমি এই চুক্তি চাই, আর এজন্য অনেক অর্থব্যয় করেছি। তাছাড়া মানবিকতার জন্য এটা দরকার।”
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প ক্রাইমিয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে চাই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো পক্ষকেই আমি বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে চাই না।”
এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “ট্রাম্প হতাশ হয়ে পড়েছেন। তার ধৈর্য কমে আসছে। তিনি চান, ইউক্রেনে মত্যু বন্ধ হোক। কিন্তু দুই পক্ষকেই এই বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উল্টো পথে হাঁটছেন।”
জেলেনস্কির বক্তব্য
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষার বিষয়ে দায়বদ্ধ থাকবে।”
লন্ডনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “ইউক্রেন সবসময় তার সংবিধান অনুসারে চলবে। আমি নিশ্চিত, আমাদের সহযোগীরা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি মনে রেখেই কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।”
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স বলেছিলেন, শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার মধ্যে এটা আছে যে, ক্রাইমিয়া-সহ রাশিয়া যে এলাকা দখল করেছে, তা তাদের অধিকারে থাকবে।
কিয়েভ, খারকিভে রাশিয়ার হামলা
কিয়েভ ও খারকিভে রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, কিয়েভে নানান দিক থেকে ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা হয়েছে। বাড়ি, গ্যারাজ, গাড়ি-সহ বেসামরিক পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ করা হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র বলেছেন, অন্ততপক্ষে দুইজন মারা গেছেন, ছয় শিশু-সহ ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিছু হামলা প্রতিহত করতে পেরেছে। কিন্তু রাশিয়া আবার হামলা করতে পারে বলে তারা মনে করছেন। আবাসিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, গতরাতে সেখানে সাতটি রকেট আছড়ে পড়ে। তবে তিনি ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর দেননি।
একদিন আগেই রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল।