যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাতার বিস্তারিত জানাবে: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ২১, ২০২৩, ১২:২৯ পিএম

যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাতার বিস্তারিত জানাবে: হামাস

বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হামাস-ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত যে সময়টায় দ্বিগুণ গতিতে বেড়ে চলেছে, তখনই হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ জানালেন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হওয়ার প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছেন তারা। এ নিয়ে কাতারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

তিনি আরও জানান, মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা কাতারের কাছে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় বিষয়ে প্রতিক্রিয়া পৌঁছে গিয়েছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির সময়, মানবিক সহায়তা সরবরাহ এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যে বন্দিরা আছে তাদের বিনিময়ে গত ৭ অক্টোবরের ২৪০ ইসরায়েলি জিম্মি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা প্রায় চুক্তির কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন হামাসের এক কর্মকর্তা।

নারী ও শিশুদের মুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষই একমত জানিয়ে হামাস কর্মকর্তা আরও বলেন, চুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতার বিস্তারিত ঘোষণা করবে।

এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য লড়াইয়ে বিরতির বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি তাকে জানিয়েছেন চুক্তির বিষয়ে এখন আগের চেয়ে কাছাকাছি।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সভাপতি মিরজানা স্পলজারিক সোমবার হামাস প্রধানের সাথে দেখা করে যুদ্ধকালীন মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেছেন। এছাড়াও মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা কাতারের কর্মকর্তাদের সাথে পৃথকভাবে দেখা করেছেন তিনি। রেড ক্রস আরও জানায়, এই আলোচনা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নয় বরং নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানবিকভাবে পাশে থাকার জন্য।

তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ৫০ জিম্মির মুক্তির কথা উল্লেখ করে যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা করে যাচ্ছে হামাস-ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কাতার। অন্যদিকে ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও এই চুক্তির আলোচনায় আছে।

এ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় চুক্তির দিকে ধীরে ধীরে এগুতে হচ্ছে।

এই চুক্তির আলোচনা চলাকালেই হামাস জানিয়েছে তারা তেল আবিবের দিকে হামলা চালিয়েছে। মধ্য ইসরায়েলে রকেটও ছোড়া হচ্ছে বলে টেলিগ্রাম বার্তায় জানায় সংস্থাটি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে মৃত্যু বেড়ে ১৩ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে শিশুমৃত্যু ৫৬০০ এবং নারীমৃত্যু ৩৫৫০।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ইসরায়েলের বোমা হামলায় নুসেইরাত ক্যাম্পে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যদিও এ নিয়ে ইসরায়েলে পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।

Link copied!