সংগৃহীত ছবি
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ব্রাজিলের অ্যামাজন নদী। এই নদীটিকে হুমকির মুখে ফেলেছে মারাত্মক খরা। দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীটি। বর্তমানে নদীটিতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় শতাধিক ডলফিন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে নদীটিতে। অস্বাভাবিক খরা ও পানির রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ডলফিনগুলোর মৃত্যু হয়েছে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।
এত বেশিসংখ্যক ডলফিনের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা নয় মন্তব্য করে ব্রাজিলের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা সংস্থা মামিরাউ ইনস্টিটিউট জানায়, গত সাত দিনে লেক টেফেতে মৃত ডলফিনগুলোকে পাওয়া গেছে। হ্রদের রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রা ও অ্যামাজনে রেকর্ড খরার কারণে এমনটা হতে পারে বলে সংস্থাটি জানায়।
নদীর মূল অংশের পানি ঠান্ডা তাই জীবিত ডলফিনগুলোকে উপকণ্ঠের উপহ্রদ থেকে সেখানে স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন গবেষক এবং কর্মীরা। কিন্তু দুর্গম এলাকা হওয়ায় কাজটি সহজ হচ্ছে না।
মামিরাউয়া ইনস্টিটিউটের গবেষক আন্দ্রে কোয়েলহো বলেন, এক নদীর ডলফিন অন্য নদীতে স্থানান্তর করা ততটা নিরাপদ নয়। কারণ, প্রাণীদের বনে ছেড়ে দেওয়ার আগে সেখানে টক্সিন বা ভাইরাস আছে কিনা তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যামাজন নদীর খরা আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব অর্থনীতিতেও পড়ছে। ইতিমধ্যে অ্যামাজোনাস রাজ্যের ৫৯টি পৌরসভায় গড় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। নদীতে নৌপরিবহন এবং মাছ ধরার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও তীব্র হবে বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। একসাথে শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু ওই অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের কার্যকলাপ এবং চরম খরার প্রভাব নিয়ে জলবায়ু বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেবে।