এপ্রিল ৯, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সব দেশের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন হারে শুল্ক বুধবার থেকে চালু হচ্ছে। ট্রাম্পের বসানো ৩৪ শতাংশ শুল্কের জবাবে মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছে চীন। তারপরই ট্রাম্প জানান, একদিনের মধ্যে চীন এই শুল্ক প্রত্যাহার না করলে চীনা পণ্যের উপর আরো ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প চীনের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বসান। মার্চে আরো ১০ শতাংশ লেভি বসানো হয়। তারপর চীনের পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল। এখন আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর হচ্ছে। সবমিলিয়ে ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসছে চীনা পণ্যের উপর।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট মঙ্গলবার বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সব পণ্যের উপর বুধবার থেকে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চালু করছেন।”
লিভিট বলেছেন, “চীনের মতো দেশ প্রত্যাঘাত করতে চাইছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেরুদণ্ড ইস্পাতের। সেটা ভাঙা যাবে না।”
তিনি বলেছেন, “চীন একটা চুক্তিতে আসতে চায়। কিন্তু কীভাবে চুক্তি করতে হয়, তা তারা জানে না।”
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “ভুলের পর ভুল করছেন ট্রাম্প।” তারা জানিয়েছে, “চীনও প্রত্যাঘাত করবে।”
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনকে ফেনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং বলেছেন, “আমেরিকা একতরফা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছে। চীন শুধু নিজের স্বার্থরক্ষা করবে তাই নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মকেও সমর্থন জানাবে।”
তিনি বলেছেন, “ট্রাম্প যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা বিশ্বকে কোথাও নিয়ে যাবে না। সহযোগিতাই হলো আসল পথ।”
বেইজিং জানিয়েছে, তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তারা মার্কিন কৃষিপণ্য ও মুরগি, ডিমের আমদানি বন্ধ করে দিতে পারে। ফেন্টানিল নিয়ে সহযোগিতা বাতিল করতে পারে। মার্কিন পণ্য আমদানির উপর আরো কড়াকড়ি করতে পারে।
শিনহুয়ার প্রবীণ সম্পাদক শিউ হং বলেছেন, চীন সমস্যা চায় না। কিন্তু তারা সমস্যাকে ভয়ও পায় না।
বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের চালু করা নতুন শুল্কের ধাক্কায় শেয়ার বাজারে উথালপাথাল দেখা যাচ্ছে। আমেরিকায় শেয়ার বাজার নিম্নমুখি। আমেরিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের সর্বত্রই শেয়ার বাজারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ধাক্কা লেগেছে। অশেোধিত তেলের দামও অনেকটা কমেছে। অর্থনৈতিক সংস্থাগুলি মন্দার আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে।
ভিয়েতনাম, ইসরায়েল, আর্জেন্টিনার মতো কিছু দেশ মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কম করেছে। ভারতও কিছু পণ্যে শুল্ক কম করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবার মার্কিন পণ্যের উপর ২০ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর কথা ভাবছে।