কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনা করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৩, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনা করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কোনো কারণে কারো অপ্রদর্শিত টাকা থাকলে সেগুলো প্রদর্শনের একটা বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তা পুনর্বিবেচনা করবে সরকার। এটি করে ফেলে আমরা খুব ভালো জিনিস করে ফেলেছি এমনটি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার, ০৩ জুন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

একই প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, গত বছর (আগস্ট ২০২৪) থেকে কালো টাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এবারও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।

তবে তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে কোনো ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে কর দিয়ে সেটি বৈধ করতে পারবেন। একই সঙ্গে যদি কেউ নিজের নামে থাকা জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থে বাড়ি নির্মাণ করেন, তাহলে তাকে দ্বিগুণ হারে কর দিতে হবে। এই অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলেই তার বিনিয়োগ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

তিনি বলেন, এটা মূলত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নয়। বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর দিয়ে যেকোনো অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটা পথ রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে জানান, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয়নি। এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থ করযোগ্য নয় এবং সেটিকে করের আওতায় আনার কোনো পরিকল্পনাও নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ।

এর আগে, ২ জুন বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।

Link copied!