মে ১৭, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
অবরুদ্ধ গাজা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যার নেতৃত্বে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতোমধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও শুরু করেছে তারা।
এ বিষয়ে ইসরায়েলকে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে। তবে পরিকল্পনাটি কার্যকর হলে কতজন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছায় গাজা ছাড়বে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এনবিসি নিউজের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং লিবিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনাও সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
এনবিসি আরও জানায়, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে লিবিয়ার জন্য বহু বছর আগে জব্দ করা কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল মুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
তিনটি ভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলকে জানানো হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় যেতে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে বসবাসের ব্যবস্থা ও আর্থিক প্রণোদনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এনবিসি দাবি করেছে, লিবিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং এর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল বা লিবিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম এই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব। তিনি জানিয়েছেন, হামাস এ ধরনের কোনো আলোচনা সম্পর্কে অবগত নয় এবং এটি সত্য হলে তার তীব্র বিরোধিতা করা হবে।
বাসেম নাইম বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত এবং তারা মাতৃভূমি, পরিবার ও ভবিষ্যতের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র তাদেরই।’
একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ফিলিস্তিনিদের কোথায় পুনর্বাসন করা হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিশেষ করে লিবিয়া যেহেতু ২০১১ সালের পর থেকে গৃহযুদ্ধ, বিভক্তি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, তাই এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এটি মোটেও উপযুক্ত জায়গা নয়।