যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনের উচিত হবে নিজেদের ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট’র এক প্রতিবেদনে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার জন্য বিব্রতকর পরাজয় না চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। এটি করতে না পারা গেলে ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেন কিসিঞ্জার।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “ইউক্রেনের অধিকাংশ মানুষই চার মাসে প্রবেশ করা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ইউরোপের প্রতি রাশিয়ার গুরুত্বের কথা মনে রাখা উচিত এবং ‘মুহুর্তের মোহে’ ভেসে যাওয়া উচিত নয়। এ সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পূর্বতন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস ক্যু)’ আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান কিসিঞ্জার।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।