নিজ ভূখন্ডের কোন অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়ার শর্তে কোন ধরণের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ইউক্রেন রাজি নয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। যুদ্ধ কেবলমাত্র কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই বন্ধ হতে পারে বলে রবিবার এক বক্তব্যে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর একদিন পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পডোলিয়াক যুদ্ধ ইস্যুতে দেশটির কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, যুদ্ধের এমন অবস্থায় রাশিয়ার কাছে কোন ধরণের ছাড় দেওয়ার অর্থ হচ্ছে রুশ সৈন্যদের হামলাকে স্বাগত জানানো এবং তাদের আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়া। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ার দখল নেওয়ার পর এবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক এবং দনবাস দখলের চেষ্টায় আছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সেভারদোনেস্ক শহর দখলে রুশ বাহিনী হামলা জোরদার করেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত লুহান্সকের ওই এলাকায় রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা-পয়েন্টগুলো ভেঙ্গে প্রশাসনিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করতে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত সেভারদোনেস্কের আশপাশের কয়েকটি পয়েন্ট থেকে রুশ বাহিনী হামলা চালালেও ভেতরে প্রবেশে ব্যর্থ হয়েছে সৈন্যরা। হামলায় সেভারদোনেস্কের সাথে পার্শবর্তী শহর লিসিচাঙ্কস্ক শহরকে সংযোগকারী একটি সেতু ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেন সফরে এসে প্রতিবেশী পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রেজেজ ডুডা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যত ইউক্রেনিয়ানরাই ঠিক করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে ইউক্রেনের ইচ্ছার প্রসঙ্গে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেন, এক্ষেত্রে পোল্যান্ড ইউক্রেনের পাশে থাকবে। তবে ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিআউন জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করতে হলে আরও ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লেগে যাবে।