কেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, জানালেন ঋষি সুনাক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০৭:১২ পিএম

কেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, জানালেন ঋষি সুনাক

যুক্তরাজ্যের স্বল্পস্থায়ী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস কর ছাড়সহ যেসব ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘সেগুলো ঠিক’ করতে তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছন ঋষি সুনাক।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো কথা বলেন যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়তে পারেন: আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন ঋষি সুনাক

ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ২০০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা পরবর্তী ধাক্কা এখনো রয়েছে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বৈশ্বিক বাজারকে অস্থিতিশীল করে দিয়েছে।” 

ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের এই তরুণ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, “লিজ ট্রাস অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে চেয়েছিলেন। এটা ভালো চিন্তা ছিল। কিন্তু ‘ভুল করা’ হয়েছিল। এসব ভুল সংশোধন করতে আমাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে।” 

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তবে তার ওই  সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের ব্যাপক দরপতন হয়।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ে ফেলে দেওয়ায় লিজ ট্রাসকে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। তিনি সব মিলিয়ে মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহের মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস মিনি বাজেট ও কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়ে দেন। নিজ মন্ত্রিসভার প্রথম অর্থমন্ত্রী কোওয়ার্সি কোয়ারতেংকে সরিয়ে দেন। পরে সরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকেও। এসব কারণে প্রশাসনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন তোলপাড় চলছিল। তার দলের এমপিদের মধ্যেও ঐক্য ও শৃঙ্খলার নাটকীয় ভাঙ্গনের মুখে ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি।

এছাড়া,কনজারভেটিভ পার্টির নীতি নির্ধারণী ১৯৯২ কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির  কাছে অন্তত ১৩ জন এমপি লিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠান। কনজারভেটিভ পার্টির নিয়ম অনুযায়ী নতুন দায়িত্ব নেওয়া কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের মধ্যে অনাস্থা ভোট আয়োজন করা সম্ভব না। তবে প্রয়োজনে এ নিয়ম পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু এটি আর করার প্রয়োজন হয়নি। ট্রাস নিজেই পদত্যাগ করেন।

Link copied!