রাশিয়ার ভোরোনেজ শহরের কাছে একটি তেল শোধনাগারে জ্বালানি ট্যাংকে আগুন লেগে যায়। পরে সে আগুন নেভানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে তেমন কিছু জানাননি তিনি।
শনিবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে গুসেভ বলেন, ‘ভোরোনেজের দিমিত্রভ সড়কের একটি তেল শোধনাগারের জ্বলন্ত ট্যাংকের আগুন নেভানো হয়েছে। দমকল বাহিনীর ১০০ সদস্য ও অন্তত ৩০টি যান আগুন নেভাতে উপস্থিত হয়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, অন্তত ২টি হেলিকপ্টার তেল শোধনাগারের দিকে যাচ্ছিল। হেলিকপ্টার যাওয়ার সময়ই স্থানটি থেকে বিস্ফোরণ ও আগুনের গোলা দেখা যায়।
আরেক ভিডিও থেকে দেখা গেছে, ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা এলাকাটিতে ছিল।
একই দিনে, রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তাকে ‘বিদ্রোহী’ বলে ঘোষণা দিয়েছে রুশ সরকার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রোস্তভ-অন-দনের পর রাজধানী মস্কোর মধ্যবর্তী ভোরোনেজ শহরের সব সামরিক স্থাপনা ওয়াগনার দখলে নিয়েছে।
তবে ভোরোনেজ শহর কর্তৃপক্ষ ওয়াগনারের সৈন্যদের দখলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ ওই অঞ্চলে সাঁজোয়া যানের বহরের চলাচলের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোরোনেজ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী ও যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে।