এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৯:৩৫ এএম
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে লা রিপাবলিক এন মার্শ পার্টির নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রো ৫৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মেরিন লি পেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে জয়লাভের ফলে গত ২০ বছরের মধ্যে ম্যাকরণই দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে টানা ১০ বছর ফ্রান্সকে শাসন করবেন।
ফল ঘোষণার পর আইফেল টাওয়ারের পাদদেশ উচ্ছাসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ম্যাক্রো বলেছেন, ‘‘নির্বাচন এখন শেষ, এখন থেকে তিনি ডানপন্থী বা বামপন্থী সবার প্রেসিডেন্ট।” পরাজয় মেনে নিয়ে লি পেন বলেছেন, নির্বাচনের সময়ে যে ইস্যুগুলোকে নিয়ে সামনে তুলে এনেছিলেন, ভোটের ফল বলছে, সেই ইস্যুগুলোর প্রতি ফ্রান্সের জনগণের সমর্থন রয়েছে। বিজয়ী ম্যাক্রোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মেয়েদের স্কার্ফ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা, অভিবাসীদের সুবিধা কমানোসহ লি পেনের বেশ কিছু নীতি সাংঘর্ষিক ছিলো ইউরোপের নীতির সঙ্গে। ম্যাক্রোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অতীতের মত ভবিষ্যতেও ব্রিটেন ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করবে।
ফ্রান্সের ভোটদানে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা ৪ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা ১৯৬৯ সালের পর সর্বনিম্ন। ৩০ লাখেরও বেশি ভোটার কাউকেই ভোট দেননি, যা ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ব্ল্যাঙ্ক ভোট নামে পরিচিতি। ম্যাকরণ বলেছেন, বিপুল সংখ্যাক এই ভোটাররা কেন কাউকেই ভোট দিলো না, সে বিষয়টিও ম্যাক্রো প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। এসব ভোটারদের কেউ কেউ যদিও বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুইজনের কেউই তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।
আগামী জুনে জাতীয় পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচনের দিকেই এখন নজর ফ্রান্সের দলগুলোর। ফ্রান্সের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ৫৫৭টি আসনের পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচন করা হয় ওই নির্বাচনে। বলা হয়ে থাকে, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জাতীয় পরিষদের আস্থাভাজন হতে হয় ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানকে।