সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম
বিশ্ব বাজার থেকে মিয়ানমার যেসব অস্ত্র কিনছে তা দেশটির সামরিক বাহিনী ব্যবহার করছে। এসব অস্ত্র দিয়ে মানুষকে দমন-পীড়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসীর তকমা দিচ্ছে জান্তা শাসক। তাই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কঠিন হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়।
মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আরও একঘরে করার আহ্বান জানিয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। শুরু হয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আন্দোলন দমনে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করে জান্তা শাসক।
মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় বলছে, একই সাথে নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে যাতে সামরিক বাহিনী প্রবেশাধিকার না পায়, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের কার্যালয় বলেছে, বিশ্বকে আজ মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে হবে এবং সামরিক জান্তাদের অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করতে হবে। সম্ভাব্য যেকোনো হামলা ঠেকানো বা কমানোর জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ বিবেচনা করতে হবে।
সামরিক শাসক ক্ষমতা দখল করায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সামরিক জান্তার বাণিজ্য চলছেই। এ ছাড়া একাধিক দেশ জান্তার কাছে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা শাসকের কাছে রাশিয়া যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে। চীন দিয়েছে যুদ্ধবিমান ও পণ্যবাহী উড়োজাহাজ। সার্বিয়া দিয়েছে রকেট ও কামানের গোলা। আর রিমোট এয়ার ডিফেন্স স্টেশন সরবরাহ করেছে ভারত। সূত্র: রয়টার্স