মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে জান্তাবিরোধীদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে ভারত সীমান্তবর্তী থান্টলাং শহরে বসবাসকারী ১০ হাজার মানুষের প্রায় অর্ধেকই ভারতে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে আছেন হাতেগোনা কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, একটি এতিমখানার কিছু শিশু আর অভিযানরত সেনা সদস্যরা।
২২ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের চীন রাজ্যের থান্টলাং শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ সংঘর্ষের প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে শহরের বহুসংখ্যক ঘরবাড়িতে আগুন লেগে যায়।
সালাই থাং নামে এক বিদ্রোহী নেতা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। সালাই থাং উদ্বাস্তু হওয়া লোকজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অনেকে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া লোকজন মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে। এদিকে, জান্তাবিরোধীদের দাবি, চলমান সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন সেনাসদস্য মারা গেছে।
মিয়ানমার নাও নিউজ জানিয়েছে, সেনা একজন যাজককে গুলি করে হত্যা করেছে। তার অপরাধ, তিনি আগুন নেভাচ্ছিলেন। সরকারি মিডিয়া এই খবর অস্বীকার করেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি মারাত্মক গোলযোগের মধ্যে পড়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে আইনসভার সাবেক সদস্যরা দেশজুড়ে 'পিপলস ডিফেনসিভ ওয়ার'-এর ডাক দেয়ার পর গোলমাল আরো বেড়েছে।
সূত্র: নিক্কে এশিয়া।