২০ ধনী পরিবারের কাছেই এশিয়ার সম্পদের পাহাড়!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৬, ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

২০ ধনী পরিবারের কাছেই এশিয়ার সম্পদের পাহাড়!

আপনি হয়তো ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন চোখে নিয়ে এই প্রতিবেদনটি দেখছেন কিন্তু সেই একই সময়ে একই আলোবাতাসে বেড়ে ওঠা এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের কখনো ছেঁড়া কাঁথা ছুঁয়ে দেখার প্রয়োজনও পড়েনি। এমনকি তাদের কখনো হয়তো কাঁথারই প্রয়োজন পড়েনি! বলছি এশিয়া মহাদেশের শীর্ষ ধনীদের কথা।

ব্লুমবার্গ এশিয়ার শীর্ষ ২০ ধনী পরিবারের তালিকা প্রকাশ করেছে। চার বছর ধরে এই তালিকা প্রকাশ করছে সংস্থাটি। প্রথমবার যখন তালিকাটি প্রকাশিত হয় তখন তিনটি ভারতীয় ধনী বংশের নাম এই তালিকায় দেখা যায়। ২০২২ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫টিতে। যারা মিলেমিশে ১৬৮.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়ে টেক্কা দিতে শুরু করে হংকংয়ের বিশাল সাম্রাজ্যগুলোকে।

Ambani-Adani

কিন্তু ভারতীয় বিলিয়নারদের এই স্বর্ণসময়ে যেন অন্ধকারের ঘনঘটা আসে তার পরপরই। হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন গৌতম আদানির গ্রুপের ওপর ১৫৩ বিলিয়ন ডলারের ঝড় বইয়ে দেওয়ার আগেই ভারতীয় ধনকুবের সাম্রাজ্যের সম্পদের পাহাড়ে ধাক্কা লাগে। ভারতীয় ধনীদের ফুলেফেঁপে ওঠা সম্পদ কমতে শুরু করে ক্রমবর্ধমান গতিতে। ব্লুমবার্গের বিলিয়নার ইনডেক্স অনুযায়ী আম্বানি-মিস্ত্রি-বিরলাদের ৫ ধনী পরিবার মিলে যে সাম্রাজ্য গড়ছিলেন তাদের সম্পত্তি হারিয়েছেন ১৭.১ বিলিয়ন ডলার।

২০১৯ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ব্লুমবার্গের চার বছরে বার্ষিক র‌্যাঙ্কিংয়ে এই প্রথম এমন পতন দেখা গেল। এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিমাণ ১৭.৭ বিলিয়ন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭৮.১ বিলিয়ন ডলারে।

mukesh

প্রতিটা ধনী গোষ্ঠীর পতনের কারণ অবশ্য ভিন্ন। যেমন- উচ্চ জ্বালানি-রপ্তানি করের কারণে ভুক্তভোগী হয়েছে আম্বানিদের পেট্রোক্যামিকেল ইউনিট। সাথে এখন তো সব গোষ্ঠীকেই ‘আদানি সংকট’-এর সাথে লড়াই করতে হচ্ছে।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের সাথে কাজ করা একজন ব্যবসায়ীর নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায়, ভারতের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর ওপর যে আস্থা ছিল সেটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। এ কারণে এখন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো পশ্চিমা আর্থিক লেনদেনের দিকে এখন কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

adani

হিনডেনবার্গের রিসার্চ অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া আদানি গ্রুপ প্রথম প্রজন্মের বিজনেস টাইকুন হওয়ার পরও এবারের ব্লুমবার্গের গোষ্ঠীভিত্তিক র‌্যাংকিংয়ে জায়গা পায়নি।

যদি হিনডেনবার্গের রিসার্চের প্রতিবেদনে করা কিছু প্রশ্ন পরিবারভিত্তিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোকে করা উচিত। যেমন কেন তারা পরিবারের মধ্যেই দায়িত্ব বণ্টন করছে এবং ব্যবসায়িক অর্থের প্রবাহের ধরনগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত।

ambani family

এই পরিবার-নিয়ন্ত্রিত সংগঠনগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত প্রায় সবগুলো ক্ষেত্র নিয়ে ব্যবসা করছে। এ কারণেই তাদের সাথে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে লন্ডন-নিউইয়র্কের ব্যবসায়ীদের আকর্ষণ বাড়ছে।

পরিবার-নিয়ন্ত্রিত এই ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যগুলোতে শাসনব্যবস্থার বিষয়টি বেশি ভূমিকা রাখে। স্যামসাং গ্রুপের লিদের মতো অনেককে এই কারণে ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। অবশেষে করপোরেট কাঠামো সহজ করে দিয়ে নেতৃত্বের সমস্যার সমাধান করে গত বছর ২.২ বিলিয়ন পুনরুদ্ধার করেছে।

এশীয় কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় সকলের দৃষ্টি ভারতের ধনী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো কিভাবে পরিবারের মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ রাখে। কারণ তারা ব্যবসায়িক বিনিয়োগের জন্য ভারতের বাইরের ব্যবসায়ীদেরও টানতে চাইছে।

বৈশ্বিক উদীয়মান অর্থনীতির স্রোতে এশিয়ার এই ধনী পারিবারিক-ব্যবসা গোষ্ঠীগুলো গা ভাসায় কি না আর কীভাবে তারা এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করে সেদিকে অনেকেরই নজর।

এশিয়ার ২০ ধনী ব্যবসায়িক পরিবারগুলো হলো-

১. ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ

আম্বানি সাম্রাজ্যের স্রষ্টা ধীরুভাই আম্বানি ১৯৫৭ সালে ইয়েমেন থেকে ভারতে ফিরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০০২ সালে ধীরুভাইয়ের মৃত্যুর পর শুরু হয় দুই ভাই মুকেশ ও অনিলের দ্বন্দ্ব। সমাধানে এগিয়ে আসেন তাদের মা। ২০০৫ সালে তেল শোধনাগার ও পেট্রো-কেমিক্যাল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পান মুকেশ। আর ফাইন্যান্স, অবকাঠামো নির্মাণ, শক্তি উৎপাদন এবং টেলিকম ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পান অনিল। ধারদেনা করে ব্যবসার সম্প্রসারণ করলেও পরে এসে ভরাডুবি হয় অনিলের। তখন মুকেশ তাকে উদ্ধার করেন। বৈদ্যুতিক যান, সবুজ জ্বালানি এবং ব্যাটারি উৎপাদনে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন মুকেশ। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে মুকেশের তিন সন্তান পারিবারিক এই ব্যবসায় নিজেদের জড়ান। তিন পুরুষের এই ব্যবসার বর্তমান সম্পদ ৭৯.৩ বিলিয়ন।

২. ইন্দোনেশিয়ার জারুম ও ব্যাংক সেন্ট্রাল এশিয়া

 

তিন প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই গোষ্ঠীর বর্তমান সম্পদ ৩৮.৮ বিলিয়ন। ১৯৫০ সালে ওয়ে উয়ে গোয়ান একটি সিগারেট ব্র্যান্ড কিনে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে এটি জারুম নামে প্রতিষ্ঠা পায়। পরে পরিবারটি ব্যাংক ব্যবসায় জড়িত হয়। বর্তমানে ব্যাংক সেন্ট্রাল এশিয়ার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে ব্যবসা দেখাশোনা করছেন গোয়ানের নাতি হারটোনো।

৩. হংকংয়ের ওয়াল্টার কোওক

সুন হুং কাই প্রোপার্টিজের তিন প্রজন্মের এই ব্যবসার দায়িত্ব এখন প্রতিষ্ঠাতা কোওক তাক সেংয়ের নাতি জেওফ্রের হাতে। বর্তমানে এর সম্পদের পরিমাণ ৩৪.৮ বিলিয়ন। ১৯৭২ সালে হংকং শেয়ারবাজারে সুন হাং কাই প্রোপার্টিজকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন কিয়ক তাক সেং।

৪. ভারতের শাপুরজি পালোনজি গ্রুপ

১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাঁচ প্রজন্মের মিস্ত্রিদের পারিবারিক ব্যবসার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২৮.৪ বিলিয়ন। বর্তমানে গ্রুপের দায়িত্বে আছেন পালোন মিস্ত্রি।

৫. থাইল্যান্ডের চ্যারোয়েন পোকফান্ড গ্রুপ

চিয়া এক চরের হাত ধরে থাইল্যান্ডে গড়ে ওঠা পারিবারিক ব্যবসা চার প্রজন্ম পেরিয়ে এখন ২৮.২ বিলিয়ন অর্থসম্পদের মালিক। ১৯২১ সালে চিয়া এক চর ভাইয়ের সাথে মিলে পারিবারিক ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে এই গ্রুপের দায়িত্বে আছেন কোরাওয়াড, যিনি নতুন করে প্রযুক্তিখাতেও বিনিয়োগ করেছেন।

৬. থাইল্যান্ডের টিসিপি গ্রুপ

১৯৫৬ সালে চ্যালিও ইয়ুভিদ্যা টিসি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে তাঁর পুত্র সারাভুত কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছেন। দুই প্রজন্মের এই গ্রুপের বর্তমান আয় ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার।

৭. হংকংয়ের নিউ ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও চোও তাই ফুক

চার প্রজন্মের এই ব্যবসা প্রথমে গয়না ব্যবসা শুরু করলেও পরে ব্যাংক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তাদের পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ ২৫.৯ বিলিয়ন। বর্তমানে ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য অ্যাড্রিয়ান চেং।

৮.হংকংয়ের বিডব্লিউ গ্রুপ ও হুইলক

১৯৫৫ সালে একটি জাহাজ কেনার মাধ্যমে তিন প্রজন্মের এই ব্যবসার যাত্রা শুরু করেন পাও ইউয়ে কং। পরে রিয়েল স্টেট ব্যবসাও শুরু করেন তারা। বর্তমানে তাদের সম্পদের পরিমাণ ২২.৬ বিলিয়ন ডলার। পাওয়ের নাতি ডগলাস উ এখন হুইলকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৯.  তাইওয়ানের ক্যাথে ফাইন্যান্সিয়াল ও ফুবন ফাইন্যান্সিয়াল

১৯৬২ সালে ত্সাই পরিবারের দুই ভাই ক্যাথে লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অর্থসাম্রাজ্যের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে এই সাম্রাজ্যের সম্পদের পরিমাণ ২১.৪ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ক্যাথে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দায়িত্বে আছেন  ত্সাই ত্জুং হান।

১০. দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং

১৯৩৮ সালে লি বাইং-চুলের হাত ধরে কৃষিপণ্য রফতানির মাধ্যমে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করা স্যামসাং বর্তমানে ইলেকট্রনিকস খাতে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি। বর্তমানের স্যামসাং-এর সম্পদের পরিমাণ ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার। পারিবারিক বংশপরম্পরায় বর্তমানে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সন জে ওয়াই লি।

১১. হংকংয়ের লি কুম কি গ্রুপ

ঝিনুকের সস তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা এই পাঁচ প্রজন্মের ব্যবসায়িক গ্রুপের বর্তমান সম্পদ ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে পরিবারের তিন সদস্যকে লি কুম কি গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১২. সিঙ্গাপুরের ফার ইস্ট অর্গানাইজেশন

১৯৬০ সালে যাত্রা শুরু করা তিন প্রজন্মের এই ব্যবসার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৬.৫ বিলিয়ন। ব্যবসার দায়িত্ব পান ড্যারিল এনজি।

১৩. সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার হং লিওং গ্রুপ

১৯৪১ সালে সিঙ্গাপুরে হং লিওং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন কোয়েক হংক পিএনজি। পরবর্তীতে মালয়েশিয়াতেও ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধি হয়। বর্তমানে তাদের সম্পদ ১৫.৮ বিলিয়ন।

১৪. ফিলিপাইনের এসএম ইনভেস্টমেন্টস

১৯৫৮ সালে জুতার দোকান থেকে এসএম ইনভেস্টমেন্টের জন্ম দেন হেনরি সাই। বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্ম হান্স সি জুনিয়র দায়িত্বে আছেন। এই গ্রুপের বর্তমান সম্পদ ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার।

১৫. ভারতের অদ্বিতীয়া বিরলা গ্রুপ

১৮৫৭ সালে সুতার ব্যবসার মাধ্যমে শেঠ শিব নারায়ণ বিরলার হাত ধরে জন্ম হয় সাত প্রজন্মের এই অদ্বিতীয়া বিরলা গ্রুপের। বর্তমানে ১৫.৫ বিলিয়ন সম্পদের মালিক এই গ্রুপে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়িত্বে আছেন অনন্যা ও আর্যমান বিরলা।

১৬. চীনের চায়না হোংকিয়াও ও ওয়েকিও টেক্সটাইল

দুই প্রজন্মের এই ব্যবসার শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। ১৪.৭ বিলিয়ন সম্পদের এই ব্যবসায়িক গ্রুপের বর্তমান মালিক সন ঝ্যাং বো।

১৭. হংকংয়ের সিএলপি হোল্ডিংস

১৮৮০ সালে মাইকেল কাদুরি হংকংয়ে আসেন। কিছুকাল পর যাত্রা শুরু করে সিএলপি হোল্ডিংস। এই গ্রুপের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৪.৫ বিলিয়ন। ৪ প্রজন্মের এই ব্যবসার দায়িত্বে আছেন ফিলিপ লরেন্স কাদুরি।

১৮. ভারতের ওপি জিন্দাল গ্রুপ

ওম প্রকাশ জিন্দালের হাত ধরে এই ভারতীয় ব্যবসায়িক গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫২ সালে। ২০০৫ সাথে প্লেন ক্রাশে তাঁর মৃত্যুর পর চার পুত্রকে নিয়ে স্ত্রী সাবিত্রী জিন্দাল এই ব্যবসার ভার নেন। ২০২২ সালে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী নারীর স্বীকৃতি পান তিনি। ১৪.৪ বিলিয়ন সম্পদের তিন প্রজন্মের এই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন ওম ও সাবিত্রীর বড় নাতনি স্মিনু জিন্দাল।

১৯. ভারতের হিন্দুজা গ্রুপ

১৯১৪ সালে পরমানন্দ হিন্দুজার হাত ধরে ভারতের এই চার প্রজন্মের ব্যবসার শুরু হয়। বর্তমানে এদের সম্পদের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলার। পারিবারিক সূত্র ধরে এখন দায়িত্বে আছেন করম হিন্দুজা।

২০. থাইল্যান্ডের সেন্ট্রাল গ্রুপ

তিয়াং চিরাথিবাতের হাত ধরে ১৯৪৭ সালে একটি ছোট পারিবারিক দোকান হিসেবে যাত্রা শুরু হয় সেন্ট্রাল গ্রুপের। ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার সম্পদের এই ব্যবসার সাথে বর্তমানে জড়িত আছেন চতুর্থ প্রজন্মের পিমপিসা চিরাথিবাত।

প্রযুক্তি খাতের উন্নতি দেখে এশিয়ার বড় বড় ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো সেদিকে নজর দিলেও বর্তমানে যে ধস নেমেছে তার সাথে লড়াই করে নিজেদের সম্পদ কতটুকু রক্ষা করতে পারেন এই এশিয়ার শীর্ষ ধনীরা সেদিকে সবার নজরতো থাকবেই। বিশেষ করে ‘আদানি সংকটের’ কারণে ভারতীয় ধনীগোষ্ঠীর লড়াইটা একটু কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Link copied!