মে ৬, ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
এক যুগ পর ভারত সফরে গেছেন পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির ওই সফরে অনেকটা রাখঢাক না করেই তাকে “সন্ত্রাসবাদের মুখপাত্র” বলে অভিহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার(৫ মে) ভারতের গোয়ায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর একথা বলেন।
বৈঠশ শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদের শিকাররা সংঘটনকারীদের সাথে বসে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করতে পারে না। এসসিওর একটি সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভুট্টো জারদারি (গোয়ায়) এসেছেন; এটিকে বহুপাক্ষিক কূটনীতির অংশের বাইরে আর বেশিকিছু মনে করি না আমরা।”
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এসসিওতে এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেননি।
পাকিস্তানকে খোঁচা মেরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও দ্রুত কমছে। দেশটিকে এখন ঋণের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে।”
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে পৌঁছালে তাকে অনেকটা গম্ভীর মুখেই স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
পরে বিলাওয়ালের উপস্থিতিতে পাকিস্তানের নাম উচ্চারণ না করে জয়শঙ্কর বলেন, “গোটা পৃথিবী যখন কোভিডের মোকাবিলায় ব্যস্ত, পরিণতি নিয়ে চিন্তিত, সন্ত্রাসবাদের হুমকি তখনো নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থেকেছে। এই বিপদ থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা আমাদের নিরাপত্তাজনিত স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সন্ত্রাসবাদের কোনো যুক্তি নেই। সন্ত্রাসের যত রকমফের ও রূপ আছে, প্রতিটি বন্ধ হওয়া জরুরি। সীমান্ত পারের সন্ত্রাসও।”
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির আগে ২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ভারত সফর করেছিলেন। ২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ে সফর করেছিলেন সরতাজ আজিজ।