মালিক সমিতির অভিযোগ

‘রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চলছে চাঁদাবাজি’

জাতীয় ডেস্ক

মার্চ ১৮, ২০২৪, ১০:৪৯ এএম

‘রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চলছে চাঁদাবাজি’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের রেস্তোরাঁ খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান রক্ষার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী বুধবার মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ একদিনের রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকিও এসেছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থাগুলো চাঁদাবাজি করছে। রেস্তোরাঁ মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যে সংস্থা যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে৷ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে অভিযোগ করেন তারা।

বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

‘অভিযানের নামে মালিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে’
- ইমরান হাসান
মহাসচিব, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এতে বলা হয়, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস আগে নোটিশ দিতে হয়। বিনা নোটিশে এভাবে ভাঙচুর করে, বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁ। রাজউকের এফ-১ ও এফ-২-এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে, তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা জানি, কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপেও ব্যবসায়ীদের ভবনের মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সরকারি পদ্ধতির জটিলতার কারণে লাইসেন্স নেয়া সময়সাপেক্ষ ও জটিল বিষয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু উপায়ে নিতে বাধ্য করা হয়। দেশের সব রেস্তোরাঁ সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু নথি চাওয়া হয়, যা বাস্তবসম্মত নয় বা দেওয়াও সম্ভব নয় বলেন তারা।
অভিযানের নামে সরকারি সংস্থাগুলো সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান হাসান। তিনি বলেন, ‘অভিযানের নামে মালিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে।’

রাজউকের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা জঞ্জালের নগরীতে পরিণত হয়েছে দাবি করে ইমরান হাসান বলেন, ‘রাজউক দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। তাদের ব্যর্থতার দায় ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে চাপালে হবে না। যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?’

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দিলেন, বাণিজ্যিক হারে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল নিচ্ছেন। পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা চলছে, এত দিন দেখলেন না? এখন কোনো নোটিশ না দিয়ে ভেঙে ফেলছেন, বন্ধ করছেন। এটা অমানবিক।’

Link copied!