শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের জামিন আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
একই দিন বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা তার সঙ্গে ছিলেন।
তবে এতে সন্তুষ্ট নন ইউনূস ও তার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, “আপিল মামলায় বিবাদীর উপস্থিত থাকার বিষয়টি আইনে বাধ্যবাধকতা নেই। প্রতি মাসে মামলার ধার্য তারিখে ড. ইউনূস সাহেবকে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। এতে বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে পারছেন না তিনি। তাই আমরা আজ তার স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেছি।”
গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
তারও আগে ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ছয় মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠা সংবলিত এই রায় প্রকাশ করা হয়।
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ অন্যান্য আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়।