খাবার থেকে অ্যাসিডিটি: মুক্তি মিলবে খাবারেই

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জুন ২১, ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

খাবার থেকে অ্যাসিডিটি: মুক্তি মিলবে খাবারেই

সংগৃহীত ছবি

ব্যস্ত জীবনে খুব কম মানুষেরই বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়। অনেকে তো সময়মতো খাবার খাওয়ার সুযোগও পান না। এই অবস্থায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে বাধ্য। কেন না সময় বাঁচাতে কিংবা সময়ের অভাবে বাইরের ভাজাপোড়া খাবারই খেতে হয় বেশি সময়।

অ্যাসিডিটিকে ভয়াবহ রূপ দেয় অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঠিকমতো না ঘুমানো, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং একাধিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ সেবন। এতকিছু সামলে নিয়ে শুরু থেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে সতর্ক না হলে আরও রোগের জন্ম হতে পারে।

ভাজাপোড়া খাবার থেকে জন্ম নেয়া অ্যাসিডিটির বিনাশ করতে হলে খেতে হবে ভালো খাবার। চলুন জেনে নেই কোনো খাবারগুলো খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মিলবে মুক্তি।

ঔষধি খাবার:

পুদিনা, তুলসী ও চিরতার মতো ঔষধি উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। খাবার হজমে এই খাদ্য উপাদানগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাসিডিটি এড়াতে এসব পাতার রস খেতে পারেন। এছাড়া পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

মসলা:

মসলা যেমন খাবারে স্বাদ বাড়ায় তেমনি শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। মৌরি, লবঙ্গ, আদা, কাঁচা হলুদ, জিরা, এলাচি এবং গোলমরিচ রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই মশলাগুলোতে থাকা অ্যান্টি-আলসার উপাদান অতিদ্রুত খাবার হজমে সহায়তা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যার ফলে অ্যাসিডিটি থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ঠান্ডা দুধ ও দই:

ঠান্ডা দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যেগুলো অ্যাসিড উৎপাদনে বাধা দেয়। আর দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো খাবার দ্রুত হজম সহায়তা করে। পাশাপাশি খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও ধ্বংস করে। এ জন্য খাবারের পর দই খাওয়া ভালো, বিশেষ করে টক দই কিংবা মাঠা।

কলা, শসা, পেঁপে ও আমলকি:

কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যেগুলো পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদন করে। কলায় থাকা আঁশ হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যাসিডিটি দূর করতে শসা ও পেঁপে খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় প্রতিদিন তিনটি আমলকী বা এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আমলকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে। এই মিশ্রণটি অ্যাসিডিটি দূর করার পাশাপাশি জ্বালাপোড়াও কমায়।

অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা ও অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে জীবনযাপনের ধরনেও কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনা উচিত। প্রতিদিন সকালে ‍ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে মুখ ও পেটে তৈরি হওয়া গ্যাস দূর হবে।

খাবার খাওয়ার মাঝে পানি না খেয়ে খাওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে বা ১০ মিনিট পরে পানি পান করুন। এতে খাবার থেকে অ্যাসিডিটি হবে না।

রাতের খাবার চেষ্টা করুন ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগেই খেয়ে নিতে। আর ঘুমও যেন ঠিকমতো সে বিষয়টিতে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা কম ঘুম হলে সকাল থেকে অ্যাসিডিটির যন্ত্রণায় ভুগতে হবে আপনাকে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এমন আরও তথ্য জানতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাথেই থাকুন।

Link copied!