আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৫, ২০২৪, ০১:০৫ পিএম

আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবোনা বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  আরও বলেন, “দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।”

খালিদ মাহমুদ বলেন, “গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও) ‍‘সি‍‍’ ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মোংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে।” বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আরও জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। এই সরকারের সময় চারটি নতুন মেরিন একাডেমী  প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ‍‍বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এর গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে।”

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, এরপর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।”

ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত হচ্ছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সেই সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজের অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে।”

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তোমাদের দায়িত্ব পালন করবে। তোমরা দেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে।” 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!