অনলাইনে মিলছে গাঁজা দিয়ে তৈরি কেক-চকলেট-মিল্কশেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৩১, ২০২২, ০১:১১ এএম

অনলাইনে মিলছে গাঁজা দিয়ে তৈরি কেক-চকলেট-মিল্কশেক

দেশের বাইরের মাদক ব্যবসায়ীদের করা ইউটিউব ভিডিও দেখে গাঁজার নির্যাস দিয়ে মিল্কশেক, কেক ও চকলেট বানানো শেখেন জুবায়ের হোসেন (২৪)। পরে আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে গাঁজার নির্যাস থেকে এসব মাদকদ্রব্য তৈরি করতেন তিনি। পরে সেগুলো বিক্রি করতেন অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে। রাজধানীতে এমনই চক্রের তিনজনকে বিশেষ অভিযানে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

রবিবার বিকেল ৪টার দিকে প্রথমে গুলশানের ৬ নম্বর রোড থেকে মোটরসাইকেলযোগে ডেলিভারিম্যান এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা থেকে চক্রের অন্য এক তরুণী ও এক যুবককে আটক করা হয়। আটককালে গাঁজার তৈরি বিভিন্ন খাবারসহ নানা উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- রাজধানীর দক্ষিণখান মিয়া পাড়ার জুবায়ের হোসেন (২৪), উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের অনুভব খান রিবু (২৩) ও উত্তরার সি ব্লকের দুই নম্বরে রোডের বাসিন্দা নাফিজা নাজা (২২)।

তাদের কাছ থেকে ৯০০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি ছয় কেজি ১০০ গ্রাম বিভিন্ন খাবার (চকলেট, কেক, মিল্কশেক), খাবার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ, একটি প্রো ম্যাক্স-১১ আইফোনসহ দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে গুলশান থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গোপন খবরে গুলশান থানা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক দল ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা যুবককে (জুবায়ের) আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানান, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মাদক দিয়ে তৈরি এসব খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল।

পরে তার দেওয়া তথ্যে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের আট নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ গাঁজার নির্যাস দিয়ে বানানো বিভিন্ন খাবার উপকরণ জব্দ এবং চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।

আটকরা জানিয়েছেন, তারা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কানাডিয়ান ও আফ্রিকান মাদক কারবারিদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট ও মিল্কশেক তৈরি করে আসছিল। এক কেজি গাঁজার চকলেট তৈরিতে পাঁচ কেজি গাঁজার নির্যাস প্রয়োজন হয় বলেও জানান তারা।

আটকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মামলার পর তাদের আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান।

Link copied!