আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনে নির্বাচনে সহিংসতা কমবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৪:৩৪ এএম

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনে নির্বাচনে সহিংসতা কমবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আরো বাড়ালে সহিংসতা কমে আসবে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক গামিনী লক্ষ্মণ পিয়ারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের সহিংসতার কথা বললে অতীতে যেতে হবে। অতীতে ৫শ/৬শ লোকেরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আপনারা জানেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এটা বেশি দিনের না। দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছি। গত বছর যেসব সমস্যা ছিল এবার সেসব সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথে এগিয়ে গেছে।’ আগামী বছর নির্বাচনে এ বিষয়টা মাইন্ডসেট হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্থানীয় সরকারগুলো শক্তিশালী ও কর্মমুখর হচ্ছে সেখানে প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখনো আমাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। তবে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দায়বদ্ধতা থাকে। সেটা যে দলের প্রতীকই হোক না কেন। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলে তার দায়বদ্ধতা থাকে না’।

সহিংসতা কমিয়ে আনতে সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন প্রশ্নে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার থাকছেন, তারা দেখছে। আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের নির্বাচন ধাপে ধাপে হচ্ছে, একসঙ্গে হচ্ছে না। কাজেই আমাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার যে সদস্য আছে তাদের পরিধি আরও বাড়াতে পারলে আমার মনে হয় সহিংসতা কমে আসবে’।

ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট কমিশনের সভা

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলোম্বোতে সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ওই সভায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় তিনি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নৌপরিবহন খাতকে কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে সবশেষ আমাদের জয়েন্ট কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর আর কোনো সভা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  আগামী বছর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলোম্বোতে সচিব পর্যায়ের সভাটি হবে। আমাদের কিছু বিষয় পেন্ডিং আছে। যেহেতু ২০১৪ সালের পর আর সভা হয়নি তাই আমার মনে হয় আমাদের ঝুলে থাকা বিষয়গুলোর সমাধান হবে’।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশসহ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিরাট উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি আমেরিকার অনেক স্টেটের থেকে এগিয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। কারণ শ্রীলঙ্কার একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক আরো বেশি গভীর হবে।

Link copied!