তাহিরপুরে ৭ ইউপির সবকটিতে ডুবেছে নৌকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৪:১০ পিএম

তাহিরপুরে ৭ ইউপির সবকটিতে ডুবেছে নৌকা

সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সবকটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

এই উপজেলার  চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য তিনটিতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন।

বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন

তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে উপজেলা শাখা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী (ঘোড়া প্রতীক) জয় পেয়েছেন।বাদাঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন (ঘোড়া প্রতীক)। বড়দল উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের সভাপতি মাসুক মিয়া (ঘোড়া)।

বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস মিয়া (মোটরসাইকেল)। শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী হায়দার (চশমা)।

শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মুরাদ (ঢোল)। বালিজুরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন (আনারস) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

জনপ্রিয় প্রার্থী না দেওয়ায় পরাজয়

তাহিরপুরের সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান গণমাধ্যমে বলেন,“ জনগণের পছন্দনীয় প্রার্থী না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীই পরাজিত হয়েছে। জনপ্রিয় প্রার্থী দেওয়া হলে এমনটা হতো না। একাধিক ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য আমরা কেন্দ্রে অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু কাজ হয়নি।”

ইউপি নির্বাচনে এমন পরাজয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে দোষারোপ করেছেন জেলা সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান।

তিনি গণমাধ্যমে বলেন, “নিজের পছন্দের মতো প্রার্থী না হলেই বিরোধিতা করেন তিনি। এমনকি দলের প্রার্থীদের বিপক্ষে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন এমপি। আমরা এসব বিষয় কেন্দ্রে জানাব।”

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি আগের মতো নেই। এমপি ও দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এমপি সাহেব জয়ী হয়, দল পরাজিত হয়।

তবে অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Link copied!